
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (ইইডি) ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি মূলত একটি অরাজনৈতিক পেশাজীবী সংগঠন।
অরাজনৈতিক হলেও গত ১৬ বছরে বিগত সরকার এটি রাজনৈতিক প্রভাবের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল।
তখন ‘বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ’ নামে সংগঠন গড়ে তোলা হয়, যার নেতারা দলীয় পরিচয়ে নানা সুযোগ-সুবিধা ও পদোন্নতি পান।
৫ আগস্টের পর ভোল পাল্টানো এই পরিষদের নেতারা এবার নতুন করে সক্রিয় হয়েছেন।
মূলত আওয়ামীপন্থী প্রকৌশলীদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর তারা সম্মেলন আহ্বান করেছেন।
এ নিয়ে সমিতির সাধারণ সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম, সম্পাদক জাফর আলী শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জরজিসুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম সাকলায়েন ও কোষাধ্যক্ষ শাহজাহানসহ কমিটি গঠন করা হয়।
আওয়ামী সরকারের সাবেক মন্ত্রীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করে তারা অতীতে নানা সুবিধা নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে পদোন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রেও এ পরিষদের প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে।
২০২৪ সালের ছাত্র-জনতা আন্দোলনের সময় আওয়ামী সমর্থনে বিতর্কিত মন্তব্য করলেও পরিষদের নেতারা এখনও সক্রিয়।
সম্প্রতি তাদের কয়েকজনকে নির্বাহী ও সহকারী প্রকৌশলী পদে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পদায়ন করা হয়েছে, যেখানে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে।
তবে সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক জরজিসুর রহমান দাবি করেন, ২৭ সেপ্টেম্বরের কাউন্সিল নতুন কমিটি গঠনের জন্য ডাকা হয়েছে, আর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততা নেই।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. রফিকুল ইসলাম জানান, কাউন্সিল সংক্রান্ত বিষয়ে কয়েকজন প্রকৌশলী দেখা করেছেন, তবে তাদের সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত জানেন না।