কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় সারের কোনো সংকট নেই। উপজেলা কৃষি অফিসার মোছাঃ নাহিদা আফরীন জানিয়েছেন, কৃতিমভাবে সারের কোনো সংকট সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ নেই। উপজেলা কৃষি অফিস প্রতিনিয়ত মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন যাতে কৃষকদের সঠিক সময় সারের সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়।
১৬ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম শাপলা চত্বরে রাষ্ট্রসংস্কার কৃষক আন্দোলন, কুড়িগ্রাম জেলা শাখার ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। যদিও কিছু মহলে সারের কৃতিম সংকটের বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে, সরজমিনে দেখা গেছে পর্যাপ্ত সার মজুদ রয়েছে এবং আগামী ১ অক্টোবর নতুন বরাদ্দের মাধ্যমে আরও সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
সার ডিলার সমিতির সভাপতি শামসুল মন্ডল জানান, প্রতিটি ইউনিয়নে নির্ধারিত ডিলার নিয়োগ রয়েছে। আমরা ইউনিয়ন ভিত্তিক ভোটার আইডি যাচাই করে সারের বিতরণ করি, ফলে অন্য ইউনিয়নের বাসিন্দাদের কোনো ধরনের সমস্যা হয় না। কৃষকরা নির্ভয়ে তাদের ফসলের জন্য প্রয়োজনীয় সার পাচ্ছেন।
সার ডিলার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা নিশ্চিত করেছি যে প্রতিটি ইউনিয়নে যথেষ্ট পরিমাণ সার বিতরণ হচ্ছে। ডিলার এবং কৃষি অফিসের যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে কৃষকদের সার সহজলভ্য করা হচ্ছে। কৃষকরা এখন আগের মতো সহজেই তাদের ফসলের জন্য সারের ব্যবস্থা করতে পারছেন।
সরজমিনে যাত্রাপুর ইউনিয়নের কৃষক আপেল বলেন, আমাদের ইউনিয়নের ডিলার ঠিকভাবে সার দিচ্ছেন। কোনো ঝামেলা ছাড়াই আমরা ফসলের জন্য সারের ব্যবস্থা করতে পারছি। এটি আমাদের জন্য বড় স্বস্তির বিষয়।
পাঁচগাছি ইউনিয়নের কৃষক শফিকুর ইসলাম বলেন, ডিলারদের নজরদারি এবং উপজেলা কৃষি অফিসের তৎপরতায় সার সংগ্রহে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আমাদের ফসলের জন্য এটি একটি ইতিবাচক সংকেত।
অপর কৃষক মজনু জানান, সারের জন্য আর দূরের বাজারে যেতে হচ্ছে না। ইউনিয়ন ভিত্তিক বিতরণ এবং পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত হওয়ায় আমরা সময়মতো সার পেয়ে ফসল চাষে মনোযোগ দিতে পারছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোছাঃ নাহিদা আফরীন আরও বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ে প্রতিনিয়ত সার সরবরাহের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করি। যদি কোনো ধরনের সংকট হতো, তা আমরা প্রথমেই জানতে পারতাম। কৃতিম সংকট সৃষ্টি করার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের লক্ষ্য হলো প্রতিটি কৃষকের জন্য সার সহজলভ্য করা এবং ফসল উৎপাদনে তাদের পাশে থাকা।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কৃষকরা সারের যথাযথ সরবরাহ ও মাঠ পর্যায়ের নজরদারি দেখে সন্তুষ্ট এবং আগামী মৌসুমে ফসল উৎপাদনে আশাবাদী