প্রকাশ: শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:২৫ পিএম (ভিজিট : ১৯৩)
নির্বাচনের আগে সাংবিধানিক সংস্কার করা যাবে না। তবে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে আসা বিষয়ে সংস্কার করতে পারবে ড. ইউনূসের নেতৃত্বধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর ব্যত্যয় হলে তা হবে অসাংবিধানিক। যার আইনি বৈধতা থাকবে না। সংবিধান পরিবর্তন কিংবা সংশোধন সব হতে হবে সংসদে। এমন অবস্থাতেই রয়েছে বিএনপি।গনমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতির বিষয়ে দেওয়া চিঠিতে এমন মতামত দিয়েছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে তারা এই মতামত জানায়।
বিএনপি শীর্ষ এই নেতা বলেন, যেসব সংস্কারের জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন নেই, অন্তর্বর্তী সরকার সেগুলো অধ্যাদেশ, প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে নির্বাচনের আগেই করতে পারে। তবে কোনোভাবেই সংবিধান সম্পর্কিত বিষয় সংসদ ছাড়া সংস্কার সম্ভব নয়। এর একমাত্র ফোরাম সংসদ। সংসদের বাইরে যেকোনো প্রক্রিয়ায় সংস্কার করলে তা বলবৎ যোগ্য হবে না তা অসাংবিধানিক হবে।
তিনি আরও বলেন, ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলমান সংবিধানের বৈধতা নিয়ে গঠিত হয়েছে। সংবিধান রক্ষার ধারাবাহিকতা রক্ষার দায়িত্বও এই সরকারের। এর ব্যত্যয় হলে ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ণ হয়। তখন এর বৈধতা কে দেবে বলেও প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।
সালাহউদ্দীন আহমেদ প্রশ্ন তোলেন, সংবিধানবহির্ভূত পদক্ষেপ কিভাবে নেবে সরকার? এ ছাড়া তিনি বলেন, সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয় এখনই বাস্তবায়ন যোগ্য নয়। কারণ এগুলো জাতীয় সংসদের বাইরে করলে আদালতে গ্রহণযোগ্য হবে না এটা আদালতেও বলবৎযোগ্য হবে না।