প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:২৪ পিএম (ভিজিট : ৯০)
শ্রীপুর উপজেলার প্রত্যন্ত একটি অঞ্চল মাওনা ইউনিয়ন।অত্র ইউনিয়নের সবচেয়ে অবহেলিত একটি গ্রাম শিরিশগুড়ি।এই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে শালদহ নদী,তার দুইপাশের গ্রামে হাজার হাজার মানুষের বসবাস। এই নদীর একটি ঘাট হচ্ছে বেলচালা।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের শিরিশগুড়ি গ্রামের হাজারো মানুষ দীর্ঘদিন ধরে শালদহ নদীর উপর একটি সেতুর অভাবে প্রতিদিন ভয় আর ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হচ্ছেন। শালদহ নদীর বেলচালা ঘাট হয়ে শ্রীপুরের শিরিশগুড়ি ও কালিয়াকৈরের করইচালা গ্রামের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী কোনো সেতু না থাকায় বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছাতে না পারায় অনেক গর্ভবতী নারী পথেই মৃত্যুবরণ করেছেন। কৃষকরা উৎপাদিত পণ্য বাজারে পৌঁছাতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়ছেন। শিক্ষার্থীরা জানায়, রশি টেনে নদী পার হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ ও ভয়ানক।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তমা জানায়, “প্রতিদিন নদী পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। একা নৌকা টেনে পার হওয়াটা খুব ভয়ংকর।”
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী মোঃ রহুল আমিন বলেন, "এখান দিয়ে নদীর দুই পাশের হাজারো মানুষ প্রতিদিনের যাতায়াত। একটি সেতু না থাকায় এই অঞ্চলের মানুষের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তি।এখানে সময় মত কৃষক তার পণ্য বাজারজাত করতে পারে না। ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজে যেতে অসুবিধা হয়। গর্ভবতী মহিলাদের ডাক্তারের কাছে নিতেও পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে সময়মত পরিবহন পাওয়া যায় না। অনেক গর্ভবতী মহিলার মৃত্যু রাস্তায় হয়েছে ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান জানান, বারবার দপ্তরে যোগাযোগ করা হলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, “উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম সড়কে অনূর্ধ্ব ১০০ মিটার সেতু নির্মাণ” প্রকল্পে এটি নতুন ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশলী জানান, “বিষয়টি জানার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ বলেন, “এটি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে।”