প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:৩০ পিএম (ভিজিট : ৪৫)
গত কয়েকদিন ধরে ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, খুলনায় একজন সাংবাদিক হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশন (বিআরজেএ)।
আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিআরজেএ’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরী ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর একের পর এক হামলা করা হচ্ছে। গত ৩১ আগষ্ট রবিবার খুলনায় একজন সাংবাদিককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাসহ এসব হামলা মুক্ত সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নগ্ন আঘাত।
নেতৃবৃন্দ খুলনায় ওয়াহিদুজ্জামান বুলু হত্যাসহ বিভিন্নস্থানে সাংবাদিকদের ওপর হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বলেন, মুক্ত গণমাধ্যম বিরোধী যে কোনো অপতৎপরতা রুখতে সাংবাদিক সমাজ বদ্ধপরিকর।
তারা বলেন, অতীতেও কোনো ফ্যাসিস্ট বা স্বৈরাচার সাংবাদিকদের সত্য প্রকাশ থেকে নিবৃত করতে পারেনি। সুতরাং আগামীতেও কোনো অপশক্তির কাছে সাংবাদিকরা আত্মসমর্পণ করবে না।
নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের নিরাপত্তা এবং হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা রোধ করতে না পারলে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়বে। পাশাপাশি গণতন্ত্র ও মানবাধিকারও সংকটের দিকে ধাবিত হবে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার ৩১ আগষ্ট খুলনায় একজন সাংবাদিককে নির্মমভাবে হত্যা, এর আগে ২৭ আগস্ট জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পুলিশের নির্মম নির্যাতনে আহত হন বাংলা ভিশনের কেফায়েত শাকিল, দ্য নিউ নেশন -এর নোমান মোশাররফ ও সৈয়দ শিমুল পারভেজ, সপ্তমী মণ্ডল ঋতু এবং খোলা বাজারের রোজিনা বেগম।
এছাড়া শুক্রবার (২৯ আগস্ট) কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে গুরুতর আহত হন বাংলাদেশ প্রতিদিনের নাইমুর রহমান দুর্জয়। শনিবার (৩০ আগস্ট) মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের পেছনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন ডিবিসির রেদওয়ানুল হক এবং দৈনিক কালবেলার এ জেড ভূঁইয়া আনাস।