প্রকাশ: শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫, ৪:২৮ PM
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার ঘটনায় অন্যতম আসামি স্বাধীন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে র্যাব। তাকেসহ এ ঘটনায় সাত জনকে গ্রেফতার করা হলো। তারা সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র।
শনিবার (৯ আগস্ট) বেলা সোয়া ১১টায় র্যাব-১ গাজীপুর পোড়াবাড়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার (এসপি) কে এম এ মামুন খান চিশতী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাত পৌনে ৯টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুর মহানগরীর শিববাড়ী মোড় থেকে স্বাধীনকে (২৮) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১। তিনি পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার সোনাহারা গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে। গ্রেফতার অপর আসামিরা হলেন- কেটু মিজান ও তার স্ত্রী গোলাপি, ফয়সাল হাসান, আল-আমিন, স্বাধীন, শাহ জালাল এবং সুমন।
সংবাদ সম্মেলনে এসপি মামুন খান চিশতী বলেন, ছিনতাইকারী চক্রের নারী সদস্য পথচারী বাদশাহকে বিরক্ত করার এক পর্যায়ে তিনি নারীকে আঘাত করেন। সঙ্গে সঙ্গেই চক্রের বাকি সদস্যরা বাদশাহকে ছুরি নিয়ে দৌড়াতে থাকে। ঘটনাটি দেখে ভিডিও করছিলেন সাংবাদিক তুহিন। চক্রের সদস্যরা ভিডিও করা দেখে ফেলায় তার ওপর হামলা করেন তারা। সিসিটিভি ফুটেজ ও আসামির প্রাথমিক স্বীকারোক্তি থেকে হত্যার কারণ এটাই পাওয়া গেছে। তদন্তে আরও ভালোভাবে বিষয়টি জানা যাবে।
এর আগে, তুহিনকে হত্যার ঘটনায় স্বাধীনসহ আরও ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শুক্রবার দিবাগত রাত ও শনিবার ভোরে রাজধানীর তুরাগ, ময়মনসিংহের গফরগাঁও এবং গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তরা গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তায় কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তুহিনের বাড়ি তুহিনের ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার ভাটিপাড়া গ্রামে। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতেন।