প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ৩:৫৯ PM
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) এবং দলটির যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলমের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যানসহ ১০ জনের প্রাথমিক পদসহ সাংগঠনিক পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাখাওয়াত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পদ ফিরে পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন— জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো- চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, জাতীয় পার্টির দফতর সম্পাদক-২ এম.এ রাজ্জাক খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠ (চট্টগ্রাম), প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আকতার (ফেনী), প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম জহির (টাঙ্গাইল), প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ (জামালপুর), প্রেসিডিয়াম সদস্য জসীম উদ্দিন (নেত্রকোনা) এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য আরিফুর রহমান খান (গাজীপুর)।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল বারী বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সংগঠনটির সব কার্যক্রম থেকে জিএম কাদেরের ওপরে অস্থায়ীভাবে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অব্যাহতিপ্রাপ্ত ১০ জনের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদবী ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন আদালত।
বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন, মোকদ্দমাটি বিচারাধীন থাকার সময়ে জিএম কাদেরের আদেশে অব্যাহতি-প্রাপ্ত ১০ জনের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদবী ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মামলাটি চলাকালীন সময়ে জিএম কাদের ও যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলমের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করা হয়েছে। মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত গঠনতন্ত্রের ২০(১) (ক) ধারা ব্যবহারের প্রয়োগ থেকে বিরত থাকার অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ক্রমানুসারে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মোকাদ্দমার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা গঠনতন্ত্রের পরিপন্থিভাবে জিএম কাদেরকে পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর জিএম কাদের পার্টির সম্মেলন ও কাউন্সিল ডেকে অবৈধভাবে নতুন গঠনতন্ত্র অনুমোদন করেন। সর্বশেষ ২০২৫ সালের ২৮ জুন প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ ৭ জনকে, পরে আরও ৩ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং জাতীয় পার্টির নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকেও তাদের নাম মুছে ফেলা হয়।