প্রকাশ: বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ৪:৩৬ PM
দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিত নিয়ে একটি দলের দাবিকে আমলে নিচ্ছে না জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি। দলটি বলেছে, জাতীয় পার্টি ফ্যাসিস্টের দোসর- এই অভিযোগের সঙ্গে একমত নয় তারা। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা অপরাধ হলে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণের দায়ে বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলনসহ ৩১টি দলের নিবন্ধনও বাতিল হওয়ার যোগ্য। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হলে জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়ে জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব ও প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী সব শর্ত মেনে নিবন্ধন পেয়েছে জাতীয় পার্টি। কেবল আরপিওর শর্ত ও আইন লঙ্ঘন করলেই কোনো দলের নিবন্ধন বাতিল হতে পারে। জাতীয় পার্টি এ ধরনের কোনো আইন লঙ্ঘন করেনি।
জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা দিয়ে গণঅধিকার পরিষদ এর আগে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিতের দাবি জানিয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে নিবন্ধিত দল হিসেবেই জাতীয় পার্টি গত তিনটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। কোনো কোনো দল এসব নির্বাচনে অংশ নিয়েছে আবার বর্জনও করেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলনসহ ৩১টি দল অংশ নিয়েছিল। নির্বাচনে অংশগ্রহণের দায়ে জাতীয় পার্টির নিবন্ধন যদি স্থগিত করতে হয়, তাহলে ওই ৩১টি দলের নিবন্ধনও স্থগিত হওয়ার কথা।
আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হলে জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে। তবে এখন পর্যন্ত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়নি।
সরকার একটি বিশেষ দলকে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে আরেক প্রশ্নের জবাবের তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা এখন পর্যন্ত পক্ষপাতমুক্ত কিংবা পক্ষপাতদুষ্ট এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না তারা। কেননা এই কমিশনের অধীনে এখন পর্যন্ত কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। নির্বাচন হলে বোঝা যাবে তারা পক্ষপাতমুক্ত কিংবা পক্ষপাতদুষ্ট কিনা।
এর আগে রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল ইসি সচিব আখতার আহমেদের দপ্তরে জাতীয় পার্টির পঞ্জিকা বৎসরের আয় ব্যয় হিসাব জমা দেন। গত বছরের আয় ব্যয়ের হিসাব অনুযায়ী জাতীয় পার্টির মোট আয় হয়েছে ২ কোটি ৬৪ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮ টাকা। ব্যয় হয়েছে এক কোটি ৭৯ লাখ ৮৮ হাজার ৪৪ টাকা। মোট উদ্ধৃত আছে ৮৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৪ টাকা।
এ সময় জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি হিসেবে আরও ছিলেন- দলটির উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য খলিলুর রহমান খলিল ও নুরুজ্জামান এবং দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম।