প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫, ৮:৪১ PM
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘আমরা এখানে চাঁদাবাজি দেখতে চাই না। আমাদের কাছে চাঁদাবাজের পরিচয় তিনি চাঁদাবাজ। কোনো ধরনের দলীয়-ব্যক্তিগত কিংবা অন্য কোনো প্রভাবে প্রটেকশন দিয়ে আর চাঁদাবাজকে রক্ষা করা যাবে না। যিনি চাঁদাবাজদের প্রটেকশন দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি চাঁদার ভাগিদার হিসেবে বিবেচিত হবেন।’
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের নিরালা মোড়ে পদযাত্রা শেষের পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘২৪ পরবর্তী বাংলাদেশের প্রশাসন, পুলিশসহ অন্য বাহিনীও বাংলাদেশের জন্য দেখতে চাই। দেশের মানুষের জন্য দেখতে চাই। আমরা কোনো দল, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর জন্য আর প্রশাসনকে ব্যবহার হতে দেখতে চাই না। আগামীর বাংলাদেশে আমরা কোনো মিডিয়াকেও ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দলের দালাল হিসেবে দেখতে চাই না। মিডিয়া যেন কোনো ব্যক্তি বা দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য কাজে না লাগে।’
তিনি বলেন, ‘কয়েকটি মিডিয়া অন্ধভাবে দালালি করেছে। আমরা চাই না ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে কোনো মিডিয়ার আর করুণ দশা হোক। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি কোন মিডিয়া কার হয়ে কাজ করছে।’
সারজিস আলম বলেন, ‘শহীদ মারুফ হত্যার বিচারের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে আসামি ধরার তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। আমরা দেখছি টাঙ্গাইলের প্রশাসন কিংবা কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী সেই বিচারিক প্রক্রিয়াকে সামনের দিকে অগ্রসর না করে মামলা বাণিজ্য শুরু করেছেন। আমরা চিনে রাখছি কারা এ মামলা বাণিজ্য করছে।’
তিনি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে পছন্দের কিছু জেলা বাদ দিয়ে ইচ্ছাকৃত বঞ্চিত করা হয়েছে। যমুনা পাড়ের মানুষের জন্য হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ আসেনি। যেটুকু এসেছে তাদের নেতাকর্মীরা লুট করেছে। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে টাঙ্গাইলের তাঁত শিল্প ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী ভাসানী হল। এ হলকে কেন্দ্র করে ভাসানীর নাম ছড়িয়ে পড়তে পারতো। কিন্ত সেই হলকে মাদকাসক্তদের আস্তানা বানানো হয়েছে।’
সমাবেশে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর সঞ্চালনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র সদস্যসচিব সারোয়ার নিভা ও ডা. তাজনুভা জাবিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।