প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫, ১২:২০ PM
গত বছর টেস্টকে বিদায় বলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন জেমস অ্যান্ডারসন। ইংল্যান্ড পেসার এতদিন পর জানালেন, সেই অবসর গ্রহণ তার নিজের ইচ্ছায় ছিল না! অথচ তিনি মনে করতেন, দলে অবদান রাখার মতো সামর্থ্য তার আছে। কিন্তু বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সরে দাঁড়ানোর এটাই সঠিক সময়।
৪১ বছর বয়সী অ্যান্ডারসন ২০২৪ সালের জুলাইয়ে লর্ডসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার শেষ টেস্ট খেলেছেন। তিনি দ্য টাইমস-এ লেখা একটি কলামে অবসরের বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেন এবং সেখানেই টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি নিয়ে মন্তব্য করেন, ‘আমি গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছি, তবে সেটা পুরোপুরি স্বেচ্ছায় নয়। ওরা বলেছিল, দল এখন ভিন্ন পথে এগোতে চায় এবং অ্যাশেজের আগে কিছু তরুণ খেলোয়াড়কে সুযোগ দিতে চায়।’
১৮৮ ম্যাচে ৭০৪টি উইকেট নিয়ে টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি অ্যান্ডারসন। ইংল্যান্ডের প্রধান কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, অধিনায়ক বেন স্টোকস এবং টিম ডিরেক্টর রব কী-এর সঙ্গে একটি বৈঠকের পরই অবসরের সিদ্ধান্তটি আসে তার। যদিও তাকে মেন্টর-কাম কোচের ভূমিকায় দলে রাখা হয়, কিন্তু এই অভিজ্ঞ পেসার জানান, তখনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার তীব্র ক্ষুধা ছিল তার মধ্যে, ‘তারা আমাকে দলীয় কোচ-মেন্টর হিসেবে রেখে দিয়েছিল, কিন্তু আমার মনে হয়েছিল এখনও দেওয়ার মতো নিজের মধ্যে কিছু বাকি আছে এবং যতদিন শরীর সাড়া দিচ্ছে, ততদিন আমি খেলতে চাই। তাই আমি ল্যাঙ্কাশায়ারের সঙ্গে কথা বলি এবং তারা আমাকে দলে নেয়।’
অ্যান্ডারসন জানিয়েছেন, তিনি আরও একটি অ্যাশেজ সিরিজের জন্য উদগ্রীব ছিলেন এবং শারীরিক দিক থেকে নিজেকে ফিটও মনে করছিলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, অবসর আমার মাথায় ছিল না। আমি তখনও আগের মতোই ভালো বোলিং করছিলাম এবং আমার শরীরও ভালো অবস্থায় ছিল। আমাকে আগে বলা হয়েছিল, যদি দলে জায়গা পাওয়ার মতো ভালো অবস্থায় থাকি এবং ফিট থাকি, তাহলে তারা আমাকে খেলিয়ে যাবে… কিন্তু পরে তারা সিদ্ধান্ত বদলায়।’
যদিও অ্যান্ডারসন দলের সিদ্ধান্তটি বুঝতে পেরেছিলেন, তারপরও এটি গ্রহণ করা তার জন্য কঠিন ছিল—বিশেষ করে তার কাছের মানুষদের জন্য, ‘আমি তাদের যুক্তি বুঝি। আমি রাগান্বিত হইনি, যদিও আমার স্ত্রী হয়েছিলেন—সম্ভবত এখনও আছেন। তবে তিনিই তো সবসময় আমার সবচেয়ে বড় সমর্থক ছিলেন, ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আমার সবচেয়ে বড় অবলম্বন।’