প্রকাশ: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৬:৫০ PM
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ চুরির ঘটনা সংক্রান্ত বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা কমিটি গঠন করেছে সরকার। এই কমিটি ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনার তদন্ত কাজের অগ্রগতি ও এ সংক্রান্ত গৃহীত সরকারি অন্যান্য পদক্ষেপের পর্যালোচনা, এ ঘটনার দায়দায়িত্ব নির্ধারণ এবং এর পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) এই কমিটি গঠনের কথা জানিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন— বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক আলী আশফাক (এফসিএ),রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নজরুল হুদা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই কমিটি প্রজ্ঞাপন জারির পর হতে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে সুপারিশ দাখিল করবে। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে। আর কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে বলেও জানানো হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। কিন্তু অসংখ্যবার সময় বাড়ালেও রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা পড়েনি। সবশেষ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আগামী ১৭ এপ্রিল নতুন তারিখ ধার্য করেছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান।
অভিযোগ আছে, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা সুইফট পেমেন্ট পদ্ধতিতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে এই বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়।পরে বিভিন্ন সময় ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার ফেরত আনা সম্ভব হয়। কিন্তু এখনো ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার ৩৯ দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে মতিঝিল থানায় মামলা করা হয়। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলার তদন্ত–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্তত ১৩ জনের গাফিলতি, অবহেলা ও দায় ছিল।