প্রকাশ: রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৭:৪৭ PM
পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) পরিচালক প্রফেসর অলিউল্লাহ মো: আজমতগীরকে বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়েছেন ডিআইএর কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। রবিবার বিকেলে ডিআইএর শেখ রাসেল অডিটোরিয়াম এ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুগ্ম পরিচালক বিপুল চন্দ্র সরকার।
প্রফেসর অলিউল্লাহ আজমতগীর বলেন, আজ থেকে ৩০ বছর ৯ মাস আগে একাদশ বিসিএসে প্রভাষক পদে যোগ দিয়েছিলাম শিক্ষা ক্যাডারে। সেই থেকে অদ্যাবধি সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার চেষ্টা করেছি প্রতিনিয়ত। আপনাদের অফিসে আমি ৪ বছর ২ দিন আগে আমি দায়িত্ব নিয়েছিলাম। দায়িত্ব নিয়েই ডিআইএর সকল কর্মকান্ডকে জবাবদিহিতার আওতায় এনে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার প্রানান্ত চেষ্টা করেছি। আমি দায়িত্ব পেয়ে কতটা কাজ করতে পেরেছি তার মূল্যায়নের ভার আমি আপনাদের উপরেই ছেড়ে দিলাম। হয়তো কাজের প্রয়োজনে অনেকের সাথে রুঢ় আচরন করেছি। আপনারা হয়তো কষ্ট পেয়েছেন। আমি অন্যায়ের কাছে কখনো মাথানত করিনি। আমি সারাজীবন শিক্ষার সাথেই থেকেছি, বাকী জীবনও সততা নিয়ে থাকতে চাই। একটি কথা মনে রাখবেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে প্রত্যেককে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আপনারা অনেক মেধাবী ও পরিশ্রমী। আপনারাই পারবেন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে। আর শেখ হাসিনার স্বপ্ন পূরণ করতে।
ডিআইএর যুগ্ম পরিচালক বিপুল চন্দ্র সরকার বলেন, আজ আমরা শিক্ষার এক উজ্জ্বল তারকাকে বিদায় দিচ্ছি। সত্যি কথা বলতে, একজন কাজ পাগল এবং দায়িত্বশীল অভিভাবক হিসেবে আপনি আমাদেরকে পরিচালিত করেছেন। আপনি আমাদেরকে শিখিয়েছেন কিভাবে কঠিন কাজকেও সহজে করা যায়। আপনার আগামী দিনগুলো ভালো কাটুক এই প্রার্থনা করছি। টুটুল কুমার নাগের সঞ্চালনায় এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপ পরিচালক ড. রেহেনা খাতুন, শিক্ষা পরিদর্শক স্বরুপ কাহালী, সহকারী শিক্ষা পরিদর্শক মনিরুল আলম মাসুম ও কামরুন নাহার প্রমুখ। বিদায়ী সংবর্ধনায় ডিআইএর পক্ষ থেকে অলিউল্লাহ আজমতগীরকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়। প্রসঙ্গত, অলিউল্লাহ আাজমতগীরের দীর্ঘ ৩০ বছরের চাকরি জীবনের শেষ দিন ছিলো রবিবার। এই দিনটিতে ডিআইএর কর্মকর্তারা অশ্রুসজল চোখে বিদায় দেন এ শিক্ষককে। পেশাগত জীবনে প্রফেসর অলিউল্লা্হ আজমতগীর সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।