প্রকাশ: সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ২:৪০ PM
পর্তুগালের রাজধানী লিসবন থেকে প্রায় ২২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছোট্ট একটি শহর কাশতেলো ব্রাঙ্কো। ৬ হাজার ৬ শত ৭৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের জেলাটিতে প্রায় তিন লাখ মানুষের বসবাস। শহরটি স্পেনের সীমান্তবর্তী হওয়ায় প্রতিনিয়ত স্প্যানিশদের আসা-যাওয়া লক্ষ করা যায়।
আয়তন ও জনসংখ্যা বিবেচনায় পর্তুগালের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা হিসেবে ও বিবেচিত এটি। দৃষ্টিনন্দন ঐতিহাসিক দুর্গ ছাড়াও সাজানো গোছানো জেলা শহরটি জেনো একটি উদ্যান।
মূলত এই দুর্গটির উপর ভিত্তি করেই পুরো শহরটির গোড়াপত্তন। শহরটির নিরাপত্তায় ১২১৪ সালে পর্তুগালের তৎকালীন রাজা আফনসো দুইয়ের আদেশেই নির্মাণ করা হয়েছিল এটি। দুর্গটির উপর থেকে একরকম পাখির চোখে পুরো শহরটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন পর্যটকরা।
শহরটিতে বাংলাদেশি প্রবাসী খুব একটা নেই বললেই চলে। তবে জনসংখ্যা কম হওয়ায় ব্যবসা বাণিজ্যের জন্যে এই শহরটি হতে পারে একটি সম্ভাবনাময় শহর। তাছাড়া লিসবন সহ পর্তুগালের অন্যান্য শহর গুলো থেকে এখানকার বাসা ভাড়াও অনেক কম, পাশাপাশি কৃষি কাজের জন্যও অপার সম্ভাবনাময় একটি নগর কাশতেলো ব্রাঙ্কো। অনলাইনে রাইড শেয়ারিং অ্যাপস ভিত্তিক খাবার বিলির কাজ করেও এখানে ভালো আয় করা যেতে পারে।
লেখকের সাথে শহরটির নেপালি রেঁস্তোরায় বাংলাদেশী নব দম্পতির দুপুরের খাবারের মূহুর্তে
ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের এ শহরটিকে গ্রানাইটের শহরও বলা যেতে পারে। পর্তুগালের সবচেয়ে উঁচু উঁচু পাহাড় এবং লম্বা হ্রদ এ শহরেই রয়েছে। শহরটিতে ভ্রমণ করার সময় যখন একটা মস্ত বড় পাহাড়ের গা ঘেঁষে দ্রুত গতির ট্রেন ছুটে চলবে পাশাপাশি জানালা দিয়ে অবলোকন করলে চোখে পড়বে অপরূপ সৌন্দর্যের হ্রদ, সেই অনুভূতি গুলি ভ্রমণে আসা দর্শনার্থী যে কাউকেই নিঃসন্দেহে বিমোহিত করে তুলবে।
শীতকালে এ শহরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হয়। কারণ পাশেই রয়েছে পর্তুগালের একমাত্র বরফের চাঁদরে ঢাকা শহর ছেরা দ্য এস্ত্রেলা। শহরটিতে স্থানীয়দের ছোট ছোট ঘর আর বাহিরে বারান্দায় ফল এবং ফুলের চাষ, বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য ফল ও ফুল গুলো কমলা, লেবু, মাল্টা, আঙুর, ত্বিন, ডালিম এবং কিউই তাছাড়া ফুলের মধ্যে গোলাপ অন্যতম। একবার এ শহরটি ভ্রমণ করলে যে কেউ শহরটির মায়াজালে মুগ্ধ হয়ে প্রেমে পড়বে।
লেখক: মনির হোসেন, পর্তুগালপ্রবাসী সংবাদকর্মী।