প্রকাশ: বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫, ৪:২৬ পিএম (ভিজিট : ২৭)
বাংলাদেশ বিমানের জন্য উড়োজাহাজ কেনার প্রক্রিয়ায় ইউরোপীয় কম্পানি এয়ারবাসকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে জানিয়েছেন জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ডিক্যাব টকে জার্মান রাষ্ট্রদূত এ কথা জানান। এমনকি এর প্রভাব জিএসপি প্লাস আলোচনায়ও পড়বে বলে সতর্ক করেছেন তিনি। বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার এবং আশা করি এই সম্পর্কের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
’
রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ আরো বলেন, ‘এয়ারবাস একটি চমৎকার পণ্য, বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দ্রুত বর্ধমান বিমানবাজারে। যদিও আমি বিমান শিল্পের প্রতিনিধি নই, তবে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি উত্তম বিকল্প।’
তিনি উল্লেখ করেন, দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো বিভিন্ন ইস্যু যেমন জিএসপি প্লাস-আলোচনার পরিবেশকে প্রভাবিত করে। এয়ারবাস কেনার মতো বড় সিদ্ধান্তগুলোও আলোচনার মেজাজ নির্ধারণ করে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘অবশ্যই এটি বাংলাদেশের সার্বভৌম সিদ্ধান্ত। তবে ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক জীবনের মতো, প্রতিটি সিদ্ধান্তের প্রভাব থাকে সামগ্রিক পরিবেশের ওপর।’
রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা বিমানের জন্য নতুন উড়োজাহাজ কেনা নিয়ে সরকারের আলোচনায় ইউরোপীয় নির্মাতা এয়ারবাসকে অন্তর্ভুক্ত করার চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সম্প্রতি ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাসে এক যৌথ বক্তব্যে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতরা আশা প্রকাশ করেন যে, উড়োজাহাজ কেনার আলোচনায় এয়ারবাসকে ‘যৌক্তিকভাবে’ বিবেচনা করা হবে।
ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশের বিমানখাতে বিপুল প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে এবং এ খাতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আলোচনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘যথাযথ স্থান’ থাকা উচিত। তিনি আরো বলেন, ইউরোপীয় কম্পানিগুলো যেন বাণিজ্যিক যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রতিযোগিতার সুযোগ পায়, সে জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা জরুরি।