
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ৫০ ওভারে বাংলাদেশ ২১৩/৭ (রিশাদ ৩৯*, মিরাজ ৩২*; সাইফ ৬, হৃদয় ১২, শান্ত ১৫, মাহিদুল ১৭, সৌম্য ৪৫, নাসুম ১৪, নুরুল ২৩)
রান তুলতে থাকা সোহানকে থামালেন মোটিমিরপুরের স্লো পিচে প্রত্যাশিত রান জমা হয়নি স্কোরবোর্ডে। নুরুল হাসান নেমে দ্রুত গতিতে খেলে রান বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন। ২৪ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৩ রান করেন তিনি। তাকে ৪৫.৬ ওভারে থামিয়েছেন গুডাকেশ মোটি। তাতে ১৬৩ রানে পড়েছে বাংলাদেশের সপ্তম উইকেট।
নাসুমকে ফেরালেন মোটিসৌম্যর বিদায়ের পর ধরে খেলার জন্য নেমেছিলেন নাসুম। মিরাজ সঙ্গে থাকলেও রান বাড়াচ্ছিলেন মূলত তিনি। কিন্তু মিরাজের সঙ্গে ২৫ রান পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছে এই জুটি। মোটির বলে ৩৮.১ ওভারে একটি ছক্কা মারার পর একই ওভারের তৃতীয় বলে ১৪ রানে ক্যাচ তুলে ফিরেছেন নাসুম। বাংলাদেশ ষষ্ঠ উইকেট হারায় ১২৮ রানে।
৪৫ রানে ফিরলেন সৌম্য
শুরু থেকে প্রান্ত আগলে দলকে টেনে নেওয়ার মূল দায়িত্বটা পালন করছিলেন সৌম্য সরকার। বড় শটসও খেলছিলেন তিনি। মিরপুরের পিচে প্রত্যাশিত মাত্রায় রান না পাওয়ার চ্যালেঞ্জে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য হারিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। বড় শট খেলতে গিয়ে সৌম্য ৪৫ রানে তালুবন্দি হয়েছেন। তার ৮৯ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ১টি ছয়। বাংলাদেশ পঞ্চম উইকেট হারায় ১০৩ রানে।
বড় শট খেলতে গিয়ে মাহিদুলও ফিরলেনমাহিদুল-সৌম্যর জুটিও বেশি বড় হলো না। ক্যারিবিয়ানদের টাইট বোলিংয়ে রান বাড়াতে বড় শট খেলতে গিয়ে সাজঘরের পথ ধরেছেন মাহিদুল। ৩৫ বল খেলে ২ চারে ১৭ রানে ফিরেছেন তিনি। তার উইকেট শিকার করেছেন আথানেজ। বাংলাদেশ চতুর্থ উইকেট হারায় ৯৬ রানে।
মেরে খেলার চেষ্টায় আউট শান্তহৃদয়ের আউটের পর সৌম্যর সঙ্গে জুটি গড়ে খেলার চেষ্টা করছিলেন শান্ত। কিন্তু বিলাসী শট খেলার মাশুল দিয়েছেন তিনি। ১৭.২ ওভারে আথানেজের বলে টেনে মেরে খেলতে গিয়ে শান্ত ১৫ রানে কাটা পড়েছেন। তার ২১ বলের ইনিংসে ছিল ২টি চার। বাংলাদেশ তৃতীয় উইকেট হারায় ৬৮ রানে।
মেরে খেলতে গিয়ে ক্যাচ আউট হৃদয়২২ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর স্কোরবোর্ড সচল রাখার চেষ্টা করছিলেন তাওহীদ হৃদয়। সৌম্যকে সঙ্গে নিয়ে ১০ ওভারে এক উইকেটে স্কোর নিয়ে যান ৪০ রানে। ১০.৩ ওভারে গুডাকেশ মোটি প্রলুব্ধ করার মতো বল দিয়ে হৃদয়কে ক্যাচ আউট করেছেন। ফেরার আগে ১৯ বলে ২ চারে ১২ রান করেছেন হৃদয়। বাংলাদেশ দ্বিতীয় উইকেট হারায় ৪১ রানে।
আবারও ব্যর্থ সাইফ
সৌম্য সরকার দারুণ ব্যাটিংয়ে রান জমা করলেও ব্যর্থ হয়েছেন আরেক ওপেনার সাইফ হাসান। ছক্কার মারার পরের বলেই (৪.৪ ওভারে) আকিল হোসেনের বলে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। তাতে টানা দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যর্থ সাইফ আউট হয়েছেন ৬ রানে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ধারাবাহিকতা ওয়ানডেতে টেনে আনতে পারছেন না। বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারায় ২২ রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে টস হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে শুরুতে ব্যাটিং করতে পেরেছিল। সিরিজ নিশ্চিতের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণিতে প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭৪ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৩৫ রানে ৬ উইকেট নেন রিশাদ।
একাদশে কারাবাংলাদেশ আজকে একটি পরিবর্তন নিয়ে খেলছে। বাদ পড়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। দলে একমাত্র পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষজ্ঞ স্পিনার ৪জন। এসেছেন বামহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশে পরিবর্তন দুটি। জেইডেন সিলসের বদলে এসেছেন আকিল হোসেন। রোমারিও শেফার্ডের জায়গায় অভিষেক হচ্ছে আকিম অগাস্টের।
বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী হাসার মিরাজ (অধিনায়ক), মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), রিশাদ হোসেন, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: ব্র্যান্ডন কিং, আলিক আথানেজ, কেসি কার্টি, শাই হোপ (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), শেরফানে রাদারফোর্ড, , জাস্টিন গ্রিভস, রোস্টন চেজ, আকিম অগাস্ট, গুডাকেশ মোটি, খ্যারি পিয়েরে ও আকিল হোসেন।