শুক্রবার ১৭ অক্টোবর ২০২৫ ১ কার্তিক ১৪৩২
 
শিরোনাম:


জাতীয়
জুলাই আন্দোলনে ‘মাস্টারমাইন্ড’ কেউ ছিল না: আসিফ মাহমুদ
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:৩৮ পিএম   (ভিজিট : ২৯)

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ‘প্রধান’ বা ‘মাস্টারমাইন্ড’ কেউ ছিল না বলে উল্লেখ করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে রাজধানীর চাঁনখারপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ জেরাকালে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এ কথা বলেন।

এ দিন বিকাল ৩টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে অবশিষ্ট সাক্ষ্য দেন আসিফ মাহমুদ। পরে তার জেরা শুরু হয়।

সজীব ভূঁইয়াকে প্রথমে জেরা করেন মামলার অন্যতম আসামি শাহবাগ থানার সাবেক ওসি (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেনের আইনজীবী সাদ্দাম হোসেন অভি। জেরার একপর্যায়ে আসিফকে আইনজীবী বলেন, ‘আপনাদের আন্দোলনে কোনও মাস্টারমাইন্ড ছিল কি-না?’

জবাবে আসিফ বলেন, ‘গত বছরের ৫ জুন কোটাপ্রথা পুনর্বহালের রায়ের পর আমরা ৫৮ জন সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়ক মিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলন শুরু করি। এতে কোনও রাজনৈতিক দলের ইন্ধন ছিল না। আন্দোলনে প্রধানও কেউ ছিল না। সমন্বয়কদের সবার মর্যাদা সমান ছিল।’

নিজেদের মধ্যকার যোগাযোগের মাধ্যম কী ছিল? আইনজীবীর এমন প্রশ্নে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে আমরা ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেছি।’

জেরাকালে আইনজীবী জানতে চান, ওই সময় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কি-না ? জবাব আসিফ বলেন, ‘আমিসহ আমাদের অনেকের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে।’

একদফা কর্মসূচির পেছনে বিদেশি কোনও শক্তি বা কারও হাত ছিল কি-না; আসামিপক্ষের আইনজীবীর এমন প্রশ্নে আসিফ বলেন, ‘এক দফা কর্মসূচি ঘোষণার পেছনে কোনও বিদেশি ইন্ধন ছিল না। আমরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া আন্দোলনকারীরাই আন্দোলনের খরচের জন্য ফান্ড তৈরি করেছি।’

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট চাঁনখারপুলে যেখান থেকে পুলিশ গুলি চালিয়েছিল সেখান থেকে আপনার দূরত্ব কতটুকু ছিল- জানতে চাইলে আসিফ বলেন, ‘আমি ২০০ মিটার দূরে ছিলাম।’

এত দূর থেকে তো গুলি করার দৃশ্য দেখা যায় না- আসামিপক্ষের আইনজীবীর এমন কথায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এটা সত্য নয়।’

এ মামলার গ্রেফতার চার আসামি হলেন- শাহবাগ থানার সাবেক ওসি (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া, মো. ইমাজ হোসেন ইমন ও মো. নাসিরুল ইসলাম। পলাতক আসামিরা হলেন- সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল।

গত ১৪ জুলাই চাঁনখারপুলের মামলাটির পলাতক চার আসামিসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট চাঁনখারপুল এলাকায় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গুলি চালায় পুলিশ। এতে বহু হতাহতের ঘটনার পাশাপাশি শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিক নিহত হন।







আরও খবর


 সর্বশেষ সংবাদ

চট্টগ্রাম ইপিজেডে আগুন বাড়ছে, আশপাশের কারখানাগুলো ঝুঁকিতে
ঝিনাইগাতীর দুঃখ ভাঙনপ্রবণ মহারশি নদীর দুই পাড়ে স্থায়ী ও টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ ও স্মারকলিপি প্রদান
ময়মনসিংহ ও শেরপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
পুত্রসন্তানের বাবা হলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
ছোট্ট কন্যাশিশু হুমাশা’র চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
আরো খবর ⇒


 সর্বাধিক পঠিত

গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের হামলায় যুবদল নেতা আহত
ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে যারা কাজ করবে তাদের সাথে জোট হবে: সারজিস আলম
কালীগঞ্জে পৃথক অভিযানে ছয় মাদক কারবারি আটক
মৃতদেহ শনাক্ত হলে দ্রুত স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে
খেললেন মেসি, পুয়ের্তো রিকোকে উড়িয়ে দিলো আর্জেন্টিনা
প্রকাশক: এম এন এইচ বুলু
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মাহফুজুর রহমান রিমন  |   উপদেষ্টা সম্পাদক : রাজু আলীম  
বিএনএস সংবাদ প্রতিদিন লি. এর পক্ষে প্রকাশক এম এন এইচ বুলু কর্তৃক ৪০ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বুলু ওশেন টাওয়ার, (১০তলা), বনানী, ঢাকা ১২১৩ থেকে প্রকাশিত ও শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ফোন:০২৯৮২০০১৯-২০ ফ্যাক্স: ০২-৯৮২০০১৬ ই-মেইল: spnewsdesh@gmail.com