
ফিলিস্তিনের গাজার মানুষের জন্য ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ৪০টির মধ্যে অন্তত ২৪টি নৌযান এখনো গাজার উদ্দেশে যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। বৃহস্পতিবার ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ট্র্যাকার অনুসারে, এসব নৌযান এখনো ইসরায়েলি বাহিনীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই অগ্রসর হচ্ছে। এসব এর মধ্যে ‘মিকেনো’ নামের একটি জাহাজ গাজার আঞ্চলিক জলসীমায় প্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে।
তবে এটি ইতিমধ্যে ইসরায়েলি বাহিনী আটক করেছে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
বাকি ২৩টি নৌযান গাজা উপকূল থেকে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এর আগে বুধবার রাতে ইসরায়েলি বাহিনী ফ্লোটিলার ১৩টি নৌযান আটকে দেয়। ওইসব নৌযানে থাকা ৩৭ দেশের দুই শতাধিক মানবাধিকারকর্মীকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে সুইডিশ পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামাস–সুমুদ ফ্লোটিলার কয়েকটি নৌযান নিরাপদে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং আরোহীদের ইসরায়েলের একটি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গ্রেটা ও তার সঙ্গীরা নিরাপদ ও সুস্থ আছেন বলে আশ্বস্ত করেছে মন্ত্রণালয়।
ফ্লোটিলার প্রথম বহরটি গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে।
পরে ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরো নৌযান যুক্ত হয়। এ ছাড়া গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকেও কয়েকটি নৌযান ত্রাণ নিয়ে ফ্লোটিলায় যোগ দেয়।
ফ্লোটিলার মুখপাত্র সাইফ আবুকেশেক ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে জানান, আটক হওয়া নৌযানগুলোতে অন্তত ২০১ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে শুধু স্পেন থেকেই ছিলেন ৩০ জন, ইতালির ২২ জন, তুরস্কের ২১ জন ও মালয়েশিয়ার ১২ জন। গাজা থেকে ১২৯ কিলোমিটার দূরে ভূমধ্যসাগরে অবস্থানকালে ইসরায়েলি বাহিনী ফ্লোটিলায় বাধা দেয়।
তাদের অন্তত আটটি নৌযান থামানো হয়—দেইর ইয়াসিন, হিউগা, স্পেক্টার, আদারা, আলমা, সিরিয়াস, আরোরা ও গ্রান্ডি ব্লু। তবে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট ১৩টি নৌযান আটকানো হয়েছে।
‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ গাজার মানুষের জন্য সমুদ্রপথে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ। বহরে প্রায় ৪৪ দেশের ৫০০ মানুষ রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামের নাগরিকসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীরা।
সূত্র : আলজাজিরা