
এটাকেই বলে পাকিস্তান। যাদেরকে নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে না কেউ। যে দলটির ওপেনাররা ব্যাট করতে নেমে এত সুন্দর একটি সূচনা এনে দিয়েছিল, সেই দলটি কি না এক ওভার বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে গেলো মাত্র ১৪৬ রানে! দুই ওপেনার ছাড়া পাকিস্তানের আর কোনো ব্যাটারই ভারতীয় বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি। যার ফলে অকাতরে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছে তারা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ফাইনালের আগে ৫বার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এবং পাকিস্তান। প্রতিবারই জয় পেয়েছে পরে ব্যাট করা দল। ইতিহাসের পূনরাবৃত্তি ঘটাতে আজও টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিলেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। আর ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান পাকিস্তানকে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারটায় শিবাম দুবেকে একটু দেখে-শুনে খেলেন পাকিস্তান ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান। তবে দ্বিতীয় ওভারেও জসপ্রিত বুমরাহকে প্রথম কয়েক বল দেখে খেলেই চড়াও হতে শুরু করেন পাকিস্তানি ওপেনাররা।
সাহিবজাদা ফারহান এবং ফাখর জামান মিলে পাকিস্তানকে এনে দিলেন দারুণ সূচনা। প্রথম পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে তারা সংগ্রহ করে ৪৫ রান। যদিও এই ৬ ওভারের মধ্যে চারজন বোলার ব্যবহার করেছেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার। কিন্তু আউটের কোনো সম্ভাবনাই তৈরি করতে পারেননি তারা।
পাওয়ার প্লের পর আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠে সাহিবজাদা ফারহান এবং ফাখর জামান। এরই মধ্যে ৩৫ বলে ৫টি বাউন্ডারি ও ২টি ছক্কা মেরে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেন ফারহান।
১০ম ওভারে বল করার জন্য বরুন চক্রবর্তিকে ডেকে আনেন সূর্যকুমার। ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা হজম করেন তিনি। কিন্তু চতুর্থ বলে আবারও ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে তিলক বার্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সাহিবজাদা ফারহান। ৩৮ বলে ৫৭ রান করেন তিনি। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মারেন তিনটি।
পাকিস্তান একাদশফাখর জামান, সাহিবজাদা ফারহান, সাইম আয়ুব, সালমান আলি আগা (অধিনায়ক), হুসাইন তালাত, মোহাম্মদ হারিস (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ নওয়াজ, ফাহিম আশরাফ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ, আবরার আহমেদ।
ভারতীয় একাদশঅভিষেক শর্মা, শুভমান গিল, সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), তিলক ভার্মা, সাঞ্জু স্যামসন (উইকেটরক্ষক), শিবাম দুবে, রিঙ্কু সিং, অক্ষর প্যাটেল, কুলদিপ যাদব, জসপ্রিত বুমরাহ, বরুণ চক্রবর্তী।