
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কথায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘কণ্ঠ শোনার’ কথা বললেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, গত পরশু, ইউএস-বাংলাদেশ একটা বিজনেস ফোরামের সভা হচ্ছিল। সেখানে আমাদের সম্মানিত, সবার সম্মানিত, বিশ্বের সম্মানিত প্রফেসর ইউনূস যখন কথা বলছিলেন, আমার বারবার করে মনে হচ্ছিল, যে আমি এ দেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কথা শুনছি।
গতকাল শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্কে ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশি’ অনুষ্ঠানে ইউনূসের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন যে বাংলাদেশকে একটা গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধ এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশে পরিণত করবেন, তার সমস্ত কথাগুলো সেই সময় প্রফেসর ইউনূসের কথায় বেরিয়ে আসছিল।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাকে সবচেয়ে মুরুব্বি বলে পরিচিত করে দেওয়া হলো, আমি নিজে কিন্তু এখনও আখতারদের (এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন) সঙ্গী মনে করি। কারণ, আজীবন লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছি এবং এখনো লড়াই করেই চলেছি। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষের জন্য সংগ্রাম-লড়াই মজ্জাগত ব্যাপার। যেকোনো বিপদে, যেকোনো দুঃসময়ে সবাই এক হয়ে লড়াই করতে জানে, তার প্রমাণ জুলাই দিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু প্রতিবার লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে। যেদিন থেকে একটা দুঃসহ, একটা দানবীয় একটি শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশের উপরে চেপে বসেছে, সেদিন থেকেই বাংলাদেশের মানুষ লড়াই শুরু করেছে। আমি এখানে তো পার্টিকুলার কোনো পলিটিক্যাল পার্টির কথা বলছি না। প্রত্যেকটি মানুষ এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। যেমন করেছে আপনার সেই তেঁতুলিয়ার গ্রামের মানুষ, ঠিক তেমনি আপনারা এইখানে এই প্রবাসে থেকেও লড়াই করে যাচ্ছেন।
তরুণদের ওপর নিজের আস্থার কথা তুলে ধরে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, একটা কথা খুব স্পষ্ট করে, দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই যে আমরা যারা বয়োজ্যেষ্ঠ আছি, আমরা অনেকগুলো লড়াই লড়েছি। আমরা স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছি, পরবর্তী সময়ে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি, লড়াই করেছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে ‘স্বপ্ন’ দেখতে হবে। আর সবচেয়ে বেশি দরকার রাজনৈতিক অঙ্গীকার। আমি শুধু আপনাদেরকে এই কথা বলতে চাই যে আমরা আধুনিক চিন্তা করি। আমাদের পরবর্তী জেনারেশন, আমাদের সামনের ছেলেরা, আমাদের মেয়েরা; তারা নিঃসন্দেহে অনেক বেশি আধুনিক চিন্তা করে। সেটাকে ধারণ করার মতো মানসিকতা আমাদের আছে এবং সেটাকে প্রমোট করার মতো সংগঠন আমাদের করতে হবে।