শিরোনাম: |
কয়েক মাস ধরে ২৫০ সয্যা বিশিষ্ট শেরপুর জেলা হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে শেরপুরের সর্বস্তরে অসন্তোষ চলে আসছে। এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে হাসপাতালের প্রশাসন ভেঙ্গে পড়েছে। চুরি, ছিনতাই, দালালদের দৌরাত্ম অপরিস্কার, রোগীদের ভোগান্তি হাসপাতালের নিত্য দিনের চিত্র। এনিয়ে কয়েক দিন ধরে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
শেরপুর জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে ২৫ আগস্ট সোমবার দুপুরে জেলা হাসপাতালের কনফারেন্স হাউজে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ, আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রকৌশল বিভাগ ও বিশিষ্টজনদের নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে। এই আয়োজনে সকলের বক্তব্য শুনে জেলা প্রশাসক ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন। আপুর সাথে তিনি ছোট একটি কমিটি করে সপ্তাহে অন্তত একদিন কোন রকম নোটিশ ছাড়া হাসপাতাল সরজমিনে দেখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
জানা গেছে, ২৫০ সয্যার এই জেলা সদর হাসপাতালে লোক বল সংকট তীব্রতর হয়ে উঠেছে। মাদক সেবী, দালাল ও ছিনতাইকারির অত্যাচারে প্রতিদিনই মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। আর র্দুগন্ধে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। চিকিৎসা ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছে। এনিয়ে মত বিনিময় সভায় উপস্থিত বক্তারা প্রশাসনের উপর দায় চাপিয়ে প্রশাসনের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
হাসপাতাল কর্মকর্তারা মাস্তান, সন্ত্রাসীদের ভয়ে আতংকিত বলে অভিযোগ করেছে। প্রভাবশালীদের অনৈতিক তদবীর বন্ধ করার দাবী তোলা হয়েছে। সেবিকারা আতংকে ঠিকমত সেবা দিতে পাচ্ছে না। রাতের বেলা হাসপাতাল অরক্ষিত হয়ে যায়। মাদকসেবী ও সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হয়ে হড়েছে জেলার এই শীর্ষ চিকিৎসা কেন্দ্রটি। এসব শুনে আলোচনা সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শেরপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মুহাম্মদ মাহীন, জেলা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ সেলিম মিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হাফিজা জেসমিন, পৌর প্রশাসক (এডিসি) মোঃ সাকিল আহাম্মেদ, শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক কাকন রেজা ও মাসুদ হাসান বাদল, এনএসআই এর এডি এটিএম কামাল হোসেন, ডিএসবির ওসি শহিদুল ইসলাম, জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুল বাতেন, বিএনপি নেতা আওয়াল চৌধুরি, এনসিপি নেতা প্রকৌশলি মো: লিখন মিয়া, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মামুনুর রহমানসহ জেলার গুরুত্বপুর্ণ কর্মকর্তাবৃন্দ।