প্রকাশ: শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ৫:০৮ PM
বিচ্ছিন্নভাবে জোড়াতালি দিয়ে দেশে পরিবর্তন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে, রাতারাতি সব সমাধান সম্ভব নয়। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ন্যূনতম ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করবে। কিন্তু এমন জায়গায় যাচ্ছি, যেখানে হতাশা বাড়ছে।
আজ শনিবার (২৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তর্ক-বির্তক হবে, কিন্তু বিতর্ক এমন জায়গায় যাচ্ছে তাতে হতাশা তৈরি হচ্ছে। উপদেষ্টারা অনেক ক্ষেত্রে অসহায়, কারণ আমলারাই সবকিছু নির্ধারণ করে দেন।
তিনি বলেন, যদি গণতান্ত্রিক নির্বাচন করা যায়, তাহলে ভবিষ্যতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যাবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যে সুযোগ এসেছে তা কাজে লাগিয়ে যদি কিছুটা হলেও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া যায়, তাহলে কিছুটা হলেও গণঅভূত্থানের মূল্যায়ন হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, অর্থনীতি কাঠামো মেরামতের কথা বলা হচ্ছে- একদিনে সব দুর্নীতি কাটিয়ে ওঠা যাবে, তা ভাবার কারণ নেই। শান্তিপূর্ণভাবে যেখানে ক্ষমতা হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া তৈরি হয়নি, সেখানে একদিনেই সব সম্ভব হবে না।
মুকসুদপুরে আ.লীগ থেকে দুই দিনে ১৪ জনের পদত্যাগমুকসুদপুরে আ.লীগ থেকে দুই দিনে ১৪ জনের পদত্যাগ
তিনি বলেন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। কিন্তু যখন বৈষম্য কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে, ঠিক তখন বিষয়গুলো সম্পূর্ণ ডাইভার্ট করে উগ্রবাদ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তখন হতাশ হচ্ছি। তর্কবিতর্ক থাকবে। কিন্তু এমন জায়গায় যাচ্ছি, যেখানে হতাশা বাড়ছে, হতাশ হতে হচ্ছে।
এতে আরও বক্তব্য দেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, অর্থনীতিবিদ এম মাসরুর রিয়াজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ও সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু। সভা সঞ্চালনা করেন অর্পণ আলোক সংঘের চেয়ারম্যান বীথিকা বিনতে হোসাইন।