শিরোনাম: |
বিনোদন জগৎ ও রাজনীতি এই দুটি ক্ষেত্রকে প্রায়শই একে অপরের পরিপূরক হিসেবে দেখা যায়, বিশেষ করে নির্বাচনের সময়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এই ধারা আরও বেশি প্রকট। সম্প্রতি ওপার বাংলার অভিনেত্রী ও তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের একটি মন্তব্য এই প্রচলিত ধারণার ওপর প্রশ্ন তুলেছে।
এক পডকাস্ট অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘অভিনেতাদের মধ্যে রাজনীতির রং আসা উচিত নয়।’ তার এই মন্তব্য রাজনৈতিক ও বিনোদন উভয় মহলেই আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
শতাব্দী রায় নিজে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় এবং তিনবারের সাংসদ। অথচ তার মুখ থেকে এমন কথা শুনে অনেকেই অবাক হয়েছেন। তিনি মনে করেন, সিনেমার কাজ সম্পূর্ণ একটি শৈল্পিক জায়গা।
যারা শিল্পকে ভালোবাসেন, তাদের উচিত সেদিকেই মনোনিবেশ করা। তার এই কথাটি এমন এক সময়ে সামনে এলো, যখন পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে তারকাদের অংশগ্রহণ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে তারকাদের আগমন নতুন কোনো বিষয় নয়। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপি, বামফ্রন্ট—সব দলেই এখন অসংখ্য তারকা মুখ। দেব, সোহম চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক, রাজ চক্রবর্তী, মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান, মিঠুন চক্রবর্তী, রুদ্রনীল ঘোষের মতো অভিনেতা-পরিচালকরা একইসঙ্গে রাজনীতি এবং অভিনয় উভয়ই সামলাচ্ছেন।