প্রকাশ: শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ৬:০১ PM
নির্বাচনী হলফনামায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে আইনি সুযোগ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হাতে নেই। তবে যথাযথ কর্তৃপক্ষ মামলা করতে পারে।
সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেওয়া এক চিঠির এমন জবাব সংস্থাটিকে দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
তিনি বলেন, আমরা চিঠির জবাব দিয়েছি৷ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে এই রকম অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো বিধান নেই, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত ২২ মে ওই চিঠিকে দুদক ইসিকে বলে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইসিতে দাখিলকৃত হলফনামায় নিজের সম্পদের বিষয়ে অসত্য তথ্য দিয়েছেন। এ বিষয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও), ১৯৭২-এর আওতায় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হলো।
এ বিষয়ে একজন নির্বাচন কমিশনার বলেন, সম্পদের তথ্য গোপন বা কম-বেশি বা উল্লেখ নাও করতে পারেন কোনো প্রার্থী। হলফনামার এই অভিযোগে কারো প্রার্থিতা বাতিল করার বিধান নেই। তবে ঋণখেলাপি হলে বাতিল করা যায়।
দুদক সেই চিঠিতে ইসিকে জানায়, শেখ হাসিনার দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিনি ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে হলফনামায় ৬ দশমিক ৫০ একর কৃষিজমি এবং তার দাম ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেখিয়েছেন।
কিন্তু যাচাই করে দেখা গেছে, শেখ হাসিনার নামে ২৮ দশমিক ৪১১ একর কৃষিজমি রয়েছে। যার মধ্যে কেনা জমির মোট দাম ৩৩ লাখ ৬৬ হাজার ১০ টাকা। এ হিসাবে ২১ দশমিক ৯১ একর জমির তথ্য গোপন করেছেন এবং ক্রয়মূল্যও প্রকৃত দামের চেয়ে ৩১ লাখ ৯১ হাজার ১০ টাকা কম দেখিয়েছেন।
বর্তমানে ইসির হাতে হলফনামায় এমন অসত্য তথ্য দেওয়ায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান না থাকলেও সংস্কার কমিশন বিষয়টি আইনি কাঠামোয় আনার প্রস্তাব করেছে। সরকার থেকে চূড়ান্ত প্রস্তাব এলে এটাও যোগ হতে পারে আরপিওতে।