প্রকাশ: বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫, ৮:২২ PM
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনিকে এবার দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান দীপু মনিকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।
জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা এ মামলায় গত ২১ মে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন দাখিল করার পর আসামির উপস্থিতিতে শুনানির জন্য বুধবার ধার্য করা হয়।
এ আবেদন শুনানির জন্য দীপু মনিকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য জানান।
চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি ৫ কোটি ৯২ লাখ ২ হাজার ৫৩০ টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ২৮টি ব্যাংক হিসাবে ৫৯ কোটি ৭৯ লাখ ৯২ হাজার ৭৩১ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে দীপু মনির বিরুদ্ধে মামলাটি করেন সংস্থার কর্মকর্তা রাশেদুল হাসান।
Ezoic
একইদিন তার স্বামী তৌফীক নাওয়াজের বিরুদ্ধেও মামলা করে দুদক। এ মামলায় দীপু মনিকেও আসামি করা হয়।
স্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ–দুর্নীতির মাধ্যমে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৩৯ হাজার ২০৫ টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয় তৌফীকের বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশের প্রথম নারী পররাষ্ট্র ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ২০০৮ সাল থেকে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর তাকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
এর ধারাবাহিকতায় দীপু মনি, তার স্বামী তৌফীক ও বড় ভাই জে আর ওয়াদুদ টিপুর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেনও স্থগিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দীপু মনি আত্মগোপনে ছিলেন। গত বছরের ১৯ আগস্ট তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হওয়া একাধিক মামলায় দীপু মনিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।