প্রকাশ: রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫, ৪:৩৮ PM
দেশবরেণ্য লালনশিল্পী ফরিদা পারভীন গত ৫ জুলাই থেকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সেখানে কিডনি রোগ ও শারীরিক নানা জটিলতা নিয়ে চিকিৎসাধীন তিনি। একুশে পদকপ্রাপ্ত এ শিল্পীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত বুধবার ৯ জুলাই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করা হয়।
ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানতে হাসপাতালের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (কাস্টমার কেয়ার) আমিনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘শিল্পী আগের চেয়ে ভালো আছেন। তাকে আজ বিকেলের দিকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে। তিনি কথাও বলতে পারছেন।’
কবে বাসায় যেতে পারবেন ফরিদা পারভীন? এ প্রশ্নের উত্তরে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘তাকে (ফরিদা পারভীন) এখন অবজারভেশনে রাখা হবে। আইসিইউ থেকে নেওয়ার পর রোগীকে কিছুদিন অবজারভেশনে রাখা হয়। তিনি কবে বাসায় যেতে পারবেন তাই এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। আরও দুই তিন পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
অন্যদিকে ফরিদা পারভীনের স্বামী যন্ত্রসংগীতশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম জানান, ‘আমি আজ দুপুর দেড়টার দিকে তাকে (ফরিদা পারভীন) আইসিইউতে দেখতে গিয়েছিলাম। তার সঙ্গে কথাও হয়েছে। অল্প অল্প করে কথা বলতে পারছেন। ক্রমেই তার উন্নতি হচ্ছে। আজ তাকে কেবিনে দেওয়া হবে। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’
তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ৫ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হন ফরিদা পারভীন। তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা। রক্তেও ধরা পড়ে সংক্রমণ। কিডনি সম্পূর্ণ বিকল হয়ে যাওয়ায় সপ্তাহে তিন দিন তাকে ডায়ালাইসিস করানো হয়। এ সময় তার চেতনাও কাজ করছিল না। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শিল্পীকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। পরে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠন করা হয় মেডিকেল বোর্ড।
ফরিদা পারভীন ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত পরিবেশন শুরু করেন। ১৯৭৩ সালে দেশের গান গেয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান তিনি। ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন।
১৯৯৩ সালে প্লেব্যাকের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।