প্রকাশ: সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ৪:২৮ PM
বিগত কয়েকদিন আইসিউতে থাকার পর উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থা এখন কিছুটা উন্নতির দিকে। বর্তমানে তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে ইমাম জাফর নোমানী। তিনি লিখেছেন, ‘আম্মাকে (ফরিদা পারভীন) এইমাত্র আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। ডাক্তার বলেছেন ভিজিটর নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অবস্থা আবারো আগের মতই হয়ে যাবে। সবাইকে আবারো অনুরোধ করছি হাসপাতালে ভিড় না করতে।’
চলতি বছরের শুরুতে একবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এই শিল্পী। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা নিয়ে বাসায় ফেরেন। এরপর আবারও তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। সেবার চিকিৎসাসেবা নিয়ে ভালোয় ভালোয় বাড়ি ফেরেন।
তবে গত ৩ জুলাই গুরুতর শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন এই শিল্পী। শুরুতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পর তাকে সাধারণ কেবিনেও দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা আবারও খারাপের দিকে গেলে তাকে ফের আইসিইউতে নেওয়া হয়। চিকিৎকদের বোর্ড গঠন করে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরমধ্যে তার একাধিকবার মৃত্যুর গুজব ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত গাইতে শুরু করেন ফরিদা। ১৯৭৩ সালের দিকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে ফরিদা পারভীন লালনসংগীতে তালিম নেন।
ফরিদা পারভীন ১৯৮৭ সালে সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান। এ ছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন। সেরা প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন ১৯৯৩ সালে। শিশুদের লালনসংগীত শিক্ষার জন্য ‘অচিন পাখি স্কুল’ নামে একটি গানের স্কুল গড়ে তুলেছেন তিনি।