
সাংগঠনিক সক্ষমতা না থাকায় ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ নেওয়া অন্যান্য প্রার্থীরা কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত।
সোমবার (১৭ জুলাই) বেলা ১১টায় গুলশান মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। আরাফাত বলেন, যদি সাংগঠনিক শক্তিমত্তা না থাকে, এখানে ১২৪টি কেন্দ্র আছে, ৬০৫টি বুথ আছে৷ প্রত্যেকটা কেন্দ্রেই এজেন্ট লাগবে, এজেন্টদের ক্ষেত্রে সকালে একজন আবার দুপুরের পর আরেকজন লাগে। শুধু এজেন্টের কথা চিন্তা করলেই ১২০০ লোকের প্রয়োজন।
‘সেক্ষেত্রে আমার কিছু বলার নেই। আওয়ামী লীগের সেই সাংগঠনিক সামর্থ আছে। প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগের ব্যাচ পড়া যেসব নেতাকর্মী আছে, শুধু তারা এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনরা ভোট দিলেই তো ২০-২৫ হাজার ভোট পড়ে যাবে।’
গত ১৫ মে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠানের (ফারুক) মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, সেই সময় ধরে পরবর্তী পাঁচ বছর মেয়াদ ধরলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অর্থাৎ আসনটিতে যিনি নির্বাচিত হবেন তিনি পাঁচ মাসের মতো সময়ের জন্য সংসদ সদস্য হবেন।
সোমবার ভোট দেওয়ার পর আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরাফাত বলেন, পাঁচ মাস আসলে খুব অল্প সময়। অনেক কিছু শুরু করা যায়। আমি বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেছি,তাদের সমস্যাগুলো দেখেছি, আমি ইতিমধ্যে সেই সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ শুরু করেছি। কিছু কিছু কাজ আমি শুরু করে দেব।
নৌকার প্রার্থী বলেন, ‘ভোট দিতে পেরে ভালো লাগছে। ভোট তো সবসময় নৌকা দিয়েছি, এবারও নৌকায় দিচ্ছি। প্রার্থী হয়েছি কি হয়নি তার গুরুত্ব আছে। তবে নৌকায় ভোট দেওয়াটাই সবচেয়ে বড় কথা আমার।’
মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ‘আমি সকালবেলা কয়েকটা কেন্দ্রে ঘুরেছি এবং খোঁজ নিয়েছি। সকালবেলা একটু বৃষ্টি পড়েছে, বৃষ্টির কারণে ভোটার টার্ন আউট কম হয়েছে। গুলশান, বারিধারা, বনানীর ভোটাররা এমনিতে একটু দেরি করে ঘুম থেকে উঠে, কিন্তু কালাচাঁদপুর শাহজাদপুর বা নর্দার দিকে গেলে আপনারা দেখবেন ভোটার অনেক এসেছে। ভাসানটেকের দিকে গেলে দেখবেন ভোটার অনেক এসেছে। এখন কিন্তু ভোটের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, কেমন ভোট পড়ছে তার জন্য কেন্দ্রে চোখ রাখতে হবে। তবে এখনই তার একজ্যাক্ট ফিগারটা বলা যাবে না। জয়ের ব্যাপারে আমি খুব আশাবাদী।
মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, আরেকটা বিষয় খেয়াল করছেন কি না, আমরা বলছি ভোট দেন ভোট দেন, আসলে আমরা বলছি না যে নৌকায় ভোট দেন, মানুষ ভোট দিতে এলে ভোট নৌকায় পড়বে, আমাদের ডানে বামে শুধু নৌকার ভোট। আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানুষকে কেন্দ্রে নিয়ে আসা।