প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০২৩, ৭:৪২ PM
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আলপনা খাতুন নামের এক হত দরিদ্র গৃহবধূর মাতৃত্বকালীন টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তের নাম লতা খাতুন। সে উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য। এ বিষয়ে ইউএনও ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আলপনা খাতুনের স্বামী মোঃ শাহাদাৎ হোসেন। এ ঘটনাটি সিরাজগঞ্জ জেলাপ্রশাসক (ডিসি) মহোদয়কে অবগত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য বিষয়, মেম্বার লতা খাতুনের দূর্নীতির বিষয়ে সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের হুমকি ধামকিসহ হয়রানি করার পায়তারা করছে। এর কিছু দিন পূর্বে ইউপি সদস্য লতা খাতুনের বিরুদ্ধে বিরৌহালী গ্রামের সড়কের গাইডওয়ালের ৭৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। তারপর জনরোষে পরে তা দায়সারাভাবে নির্মাণ করে দেয়। ভুক্তভোগী আলপনা খাতুন বলেন, ২০১৭ সালে আমাকে মাতৃত্বকালীন ভাতা কার্ড করে দেয় ইউপি সদস্য লতা খাতুন। কার্ড করে দেওয়ার সময়ও তার কাছ থেকে ৫ হাজার ৫০০ টাকা উৎকোষ নেয়। এরপর ব্যাংক একাউন্টের চেক বহি তার কাছেই রেখে দেয়। ভাতা কার্ড হওয়ার পর থেকে তাকে শুধু ৯ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
হত দরিদ্র এই গৃহবধূ আরো বলেন, ইউপি সদস্য লতা খাতুনের কাছ থেকে ভাতা বহি ও ব্যাংক একাউন্টের চেক বহি চাইলে দীর্ঘ সময় ক্ষেপন করতে থাকে।
মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা চাইলে একাউন্টে কোনো টাকা আসেনি বলে সাফ জানিয়ে দেয়। কিন্ত গত বুধবার নওগাঁ বাজার শাখার সোনালী ব্যাংক থেকে স্টেটমেন্ট তুলে দেখতে পায় ২০২২ সালের ১লা আগষ্টে একাউন্টে ৯ হাজার ৬০০ টাকা জমা হয়েছে। ঠিক ঐ বছরের ১১ই আগষ্ট মাসে সেই টাকা উত্তোলনও করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য লতা খাতুন বলেন, মাতৃত্বকালীন ভাতা কার্ড করে দেওয়ার সময় আমি টাকা নিয়েছি। কিন্তু ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে। এদিকে নওগাঁ বাজার শাখার সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের ভাউচার দেখে ভুক্তভোগীর স্বাক্ষর মিলিয়ে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে দেখা হবে।
৫নং নওগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনু বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
তবে এ ধরনের অর্থনৈতিক কাজ যদি লতা মেম্বার করে থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যপারে তাড়াশ উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত আছি, ঘটনা সত্য প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খাদিজা নাছরিন বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।