শ্যামবর্ণ নারীর প্রতি সমাজের বৈষম্যমূলক আচরণ আর সেই পরিবারে ভাঙন ধরার গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে টেলিছবি 'জলটুঙি'। আফরিন জেসিকার রচনায় টেলিছবিটি পরিচালনা করেছেন রহিম সুমন। 'জলটুঙিতে' অভিনয় করেছেন নাজনীন হাসান ,দিলারা জামান, হামিদুর রহমান , ঈষিকা সাকিন, অভি প্রামাণিক , ইমামুর রশীদ খান রতন সিদ্দিকী সহ আরো অনেকে।
চিত্রনাট্যে দেখা যাবে, শ্যামবর্ণ, স্পষ্টবাদী ও আত্মবিশ্বাসী এক নারী জয়া। স্বামী আসিফ ও মেয়ে টুসিকে নিয়ে তার সংসার ভালোই চলছিল। কিন্তু আসিফের বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়দের কটূক্তি সেই শান্ত জীবনে ফাটল ধরায়।
তারা জয়ার গায়ের রং নিয়ে হাসি ঠাট্টা করতেন। ধীরে ধীরে বিষয়টি আসিফের মনে প্রভাব ফেলে; নিজের অজান্তেই তিনি দূরে সরে যেতে থাকেন জয়ার কাছ থেকে।
সে দূরত্ব শেষ পর্যন্ত আলাদা করে দেয় জয়া–আসিফকে। আর এই বিচ্ছেদে সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত হয় তাদের মেয়ে টুসি।মায়ের স্নেহ ছাড়াই তার কেটে যায় তার ১৩টি বছর।
১৮ বছর বয়সে পৌঁছে টুসি বাবার প্রতি অভিমান থেকে ফিরে আসে মায়ের কাছে। মায়ের প্রতি সম্মান দেখাতে এবং তার সংগ্রামের পাশে দাঁড়াতেই টুসি নিজের বর্ণ বদলে ধারণ করে মায়ের মত শ্যামবর্ণ রূপ। প্রথমে বিষয়টি ভুল বোঝেন জয়া, কিন্তু শেষ পর্যন্ত উপলব্ধি করেন টুসি ও আসিফ দুইজনেই তাকে ভালোবাসে, আর ভালোবাসার কাছে কোনো বর্ণই বড় নয়।
'জলটুঙি' নিয়ে রহিম সুমন বলেন, “এই গল্পে ফুটে উঠেছে নারীর প্রতি বর্ণবৈষম্য, আছে প্রতিবাদ। এই টেলিছবির মাধ্যমে সমাজে বর্ণবৈষম্য নিয়ে একটি দারুন বার্তা পাবে দর্শক। খুব শিগগিরই এটি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচার হবে।”
জলটুঙি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অনিন্দ্য এর ব্যানারে তৈরি হয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে হয়েছে টেলিছবির দৃশ্যধারণ।
রহিম সুমন এর আগে নির্মাণ করেছেন নাটক 'বংশপ্রদীপ', 'একাকী', 'প্রিয় ফুল তুমি', 'গোধূলীর আলো', 'মামলা মতিন' , 'ভালোবাসি ভালোবাসি', 'নিরবে চেয়েছি তোমায়', 'ক্ষমা', 'শঙ্খ', 'সাবকনসাস', 'ছায়া হয়ে থেকো', 'এলোমেলো বাতাস' সহ আরও কিছু নাটক।