প্রকাশ: বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫, ৪:২৮ পিএম (ভিজিট : ২০)
নির্বাচকদের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুলতে দেখা যায় না ক্রিকেটারদের। এবার সেটাই ঘটেছে চট্টগ্রামে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে টি–টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাস বাঁহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটার শামীম হোসেনকে বাদ দেওয়ায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
লিটন জানান, শামীমের বাদ পড়া কিংবা তার জায়গায় ডানহাতি মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে নেওয়ার বিষয়টি তাকে জানানো হয়নি, ‘অবশ্যই সে থাকলে ভালো হতো। কিন্তু এটা আমার সিদ্ধান্ত না—এটা নির্বাচকদের সিদ্ধান্ত। শামীমকে বাদ দেওয়া হয়েছে—এই কথাটাও আমাকে জানানো হয়নি।’
তিনি আরও যোগ করে বলেছেন, ‘আমি সবসময়ই মনে করি, কোন খেলোয়াড় আসছে বা যাচ্ছে— তা ক্যাপ্টেনের জানার কথা। তার বাদ পড়ার তেমন কোনও কারণও দেখছি না। স্কোয়াডে যে ১৫ জন আছে, সবাই সক্ষম। তার পরও শামীম থাকলে ভালো লাগত।’
এখানেই থামেননি লিটন। ইঙ্গিত দেন, স্কোয়াড নির্বাচনে তার প্রভাব কার্যত নেই বললেই চলে, ‘নির্বাচক আর বোর্ড আমাকে পরিষ্কার বলে দিয়েছে—যে দল দেব, সেই দল নিয়েই খেলতে হবে। কে আসবে, কে যাবে—এই জায়গায় এখন আর আমার কোনও ভূমিকা নেই। আমি সবসময় ভাবতাম, ক্যাপ্টেনের স্কোয়াড গঠনে ভূমিকা থাকা উচিত। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আমাকে যে দল দেওয়া হবে, সেখান থেকেই সেরাটা বের করে আনতে হবে।’
তিনি নির্বাচক প্যানেল, প্রধান কোচ ও অধিনায়কের মধ্যে যোগাযোগ আরও উন্নত করার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন, ‘এটাকে অপমান বলবো না, কিন্তু কোচ আর ক্যাপ্টেনের জানা উচিত। আমরা কিছুই জানি না। আর একই ঘটনা বিশ্বকাপে হলে তখনও আমাকে তাদের দেওয়া দল নিয়েই খেলতে হবে।’
মিডল অর্ডারে ডানহাতি ব্যাটারদের ভিড়ে একজন বাঁহাতিকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তের ক্রিকেটীয় যুক্তিতেও প্রশ্ন তোলেন লিটন, ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। বিষয়টা বিবেচনা করা উচিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডানহাতি–বাঁহাতির সমন্বয় লাগে। এখন যাদের দলে নেওয়া হয়েছে তারা সবাই যোগ্য প্রমাণিত বলেই এসেছে। তারা চেষ্টা করবে সেরাটা দেওয়ার।’