
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান ও পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভির হাত থেকে এশিয়া কাপের শিরোপা গ্রহণ করেনি ভারত। নাকভিও গো ধরে ছিলেন। অন্য কারো হাত দিয়ে ভারতকে শিরোপা দিতে রাজি হননি তিনি।
শিরোপা ছাড়াই তাই উদযাপন করেছে ভারত। ম্যাচ শেষে ঘটনাকে শিরোপা না দেওয়া হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। তিনি বলেছেন, চ্যাম্পিয়ন দলকে কষ্টার্জিত শিরোপা দেওয়া হয়নি, জীবনে প্রথমবার এমন ঘটনার সাক্ষী হলেন তিনি।
সূর্যকুমার বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন দলকে তাদের কষ্টার্জিত শিরোপা দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে। ক্রিকেট খেলতে শুরু করার পর, ক্রিকেট অনুসরণ করার পর থেকে এমন ঘটনা কখনো দেখিনি। এমন নয় যে, আমরা এটা এমনি এমনি পেয়ে গেছি। এটা আমাদের খুব কষ্টের অর্জন।
সেই ৪ সেপ্টেম্বর থেকে এখানে (আরব আমিরাতে) আছি আমরা। খুব পরিশ্রমের টুর্নামেন্ট গেছে। পরপর দুটো কঠিন ম্যাচ খেলতে হয়েছে। আমি মনে করি, এটা আমাদের প্রাপ্য। এর বেশি কিছু বলতে চাই না। আমি মনে করি, যা বলার আমি বলে দিয়েছি।’
শিরোপা না পেয়ে খুব বেশি হতাশ নন বলেও মন্তব্য করেছেন সূর্যকুমার যাদব। মুখে হাসি নিয়েই চ্যাম্পিয়নের পডিয়ামে দাঁড়িয়ে তারা উদযাপন করেছেন বলেও উল্লেখ করেন, ‘আপনারা হয়তো দেখে থাকবেন, পডিয়ামে আমরা উদযাপন করেছি, আমাদের চোখে মুখে উচ্ছ্বাস ছিল।’
সূর্যকুমার দাবি করেছেন, নাকভির হাত থেকে শিরোপা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত খেলোয়াড়দেরই। বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে তাদের কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এসিসির সঙ্গে বিসিসিআই-এর কী ধরনের আলোচনা হয়েছে তাও জানেন না তিনি।
সূর্যকুমার বলেন, ‘মাঠেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কেউ আমাদের কিছু বলে দেয়নি। এসিসি ও বিসিসিআই-এর মধ্যকার আলোচনা সম্পর্কে আমরা অবগত নই। শিরোপা পাই না পাই, বিগ স্ক্রিনে যে ভারত চ্যাম্পিয়ন লেখা হয়েছে এটাই বড় প্রাপ্তি। আমার কাছে শিরোপা, ড্রেসিংরুমে বসে থাকা ওই ১৪ জন ক্রিকেটার।’
সংবাদ মাধ্যম ক্রিকবাজ জানিয়েছে, ইমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান খালিদ আল জারোনি এবং বিসিবি সভাপতি বুলবুল শিরোপা দেবেন বলে এক পর্যায়ে ভারতকে জানানো হয়েছিল। ভারতীয় দল এতে রাজিও হয়েছিল। কিন্তু নাকভি অন্য কারোর হাত দিয়ে শিরোপা হস্তান্তরে রাজি হননি। তার কথা ছিল- এশিয়া কাপের শিরোপা নিতে হলে এসিসি সভাপতির হাত থেকেই নিতে হবে।