প্রকাশ: রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:৫৯ পিএম (ভিজিট : ২২২)
বিধি বহির্ভূত ও খেয়ালখুশিমতো শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের কারণে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আর্থিক সংকটে রয়েছে যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ সংকটের ফলে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন নিয়মিত পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মরিয়ম বেগম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রভাব ও অশিক্ষকসুলভ কর্মকাণ্ডের কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকে। বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ২১৪৩ জনে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বাবদ মাসিক খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা। অন্যান্য খরচ মিলিয়ে মাসিক ব্যয় দাঁড়ায় প্রায় ৩০ লাখ টাকা, অথচ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি আদায় হয় মাত্র ১৬ লাখ টাকা। ফলে প্রতিবছর কয়েক মাস করে বেতন বকেয়া থেকে যাচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ১৩ মাসের বেতন বকেয়া আছে।
এছাড়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের সময় প্রতিষ্ঠানটির তিনটি ভবনের মধ্যে একটি সম্পূর্ণ এবং দুটি আংশিক ভেঙে ফেলা হয়। এর ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রায় ৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা পাওয়া গেলেও তা দিয়ে আংশিক বকেয়া বেতন, ভবন সংস্কার ও অন্যান্য খাতে ব্যয় করা হয়েছে।
অধ্যক্ষ মরিয়ম বেগম অভিযোগ করেন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান হাওলাদার ও তার অনুসারীরা নানা অপতৎপরতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। তিনি আরও জানান, মনিরুজ্জামানকে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তার প্রপাগান্ডা ও অপপ্রচার বন্ধ হয়নি।
তিনি দাবি করেন, প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বরং রাজনৈতিক প্রভাব ও বিধি বহির্ভূত নিয়োগ নীতি অনুসরণের কারণে এ প্রতিষ্ঠানটি আজ আর্থিক সংকটে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে গভর্নিং বডির সভাপতি রমিজ উদ্দিন আহমেদসহ প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।