প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫, ৬:০৪ PM
বাংলাদেশের স্থানীয় পর্যায়ে বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকেই মূল চালিকাশক্তি হিসেবে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিডার মাল্টিপারপাস হলে ‘বিনিয়োগ পরিবেশ শক্তিশালীকরণে মিউনিসিপ্যাল সক্ষমতা সূচক (এমসিআই)-এর ভূমিকা’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের এক কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বিডা ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘সুইসকন্ট্যাক্ট’র যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় ২০২৪ সালে দেশের সাত পৌরসভায় পরিচালিত এমসিআই জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। এই জরিপের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে বিনিয়োগের সম্ভাবনা, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, ঢাকার বাইরে বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা কিছুটা পিছিয়ে আছি। এমসিআই সূচক সেই ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারগুলো বিনিয়োগের জন্য আরও উপযোগী হয়ে উঠবে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করে। সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে এই অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিডার নির্বাহী সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) শাহ মোহাম্মদ মাহবুব। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিডার নির্বাহী সদস্য মো. মোখলেছুর রহমান এবং সুইসকন্ট্যাক্ট টিম লিডার মার্কাস এহমান।
বিডার উপ-পরিচালক আবু মোহাম্মদ নুরুল হায়াত টুটুলের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক জীবন কৃষ্ণ সাহা রায়। তিনি বলেন, শুরুতে কিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সুইসকন্ট্যাক্টের সহায়তায় সেগুলো অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে।
এসময় পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম মসরুর রেজা বলেন, বিশ্বব্যাংকের ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ সূচক শুধুমাত্র দুটি শহরকে ঘিরে ছিল। কিন্তু এমসিআই সূচক স্থানীয় পর্যায়ের বাস্তব চিত্র তুলে ধরছে, যা বিনিয়োগবান্ধব সংস্কারে সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বক্তারা উন্মুক্ত আলোচনায় স্থানীয় পর্যায়ে ব্যবসা শুরু করা, করব্যবস্থা, অবকাঠামো, অর্থায়ন এবং বিরোধ নিষ্পত্তির মতো ক্ষেত্রগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তারা বলেন, এসব উদ্যোগ নেওয়া হলে স্থানীয় সরকারগুলো দেশের অর্থনীতিতে আরও বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।