প্রকাশ: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ৫:৪৬ PM
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের মেয়েকে হত্যার দায়ে বাবাসহ একই পরিবারের তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ নুরুল আমীন বিপ্লব নয় বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বলে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. জালাল উদ্দিন জানান।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার কিরাটন ইউনিয়নের ভাটিয়া জহিরকোনা গ্রামের আব্দুল মোতালিবের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম আঙ্গুর, তার ভাই খুর্শিদ মিয়া ও ভাতিজা সাদেক মিয়া।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন না। সাজার পাশাপাশি তাদের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দিয়েছেন বিচারক।
মামলার বরাতে পিপি জালাল উদ্দিন বলেন, আনোয়ারুল ইসলাম আঙ্গুরের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে একই এলাকার আবুবকর সিদ্দিকসহ কয়েকজনের বিরোধ ছিল। এর জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ২০১৬ সালের ১০ অগাস্ট আঙ্গুর ও তার ভাই-ভাতিজা মিলে আঙ্গুরের মেয়ে মীরা আক্তার আসমাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তার লাশ বাড়ির পেছনে জঙ্গলে ফেলে রাখে।
পরদিন আঙ্গুর বাদী হয়ে আবুবকরসহ ১৬ জনের নামে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ হত্যার সঙ্গে আঙ্গুরসহ আরও কয়েকজন স্বজন জড়িত থাকার প্রমাণ পায়।
তাই উল্লেখিত হত্যা মামলাটিতে আসামিরা নির্দোষ বলে ২০১৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মামলার বিবরণে বলা হয়, পরে ওই দিনই করিমগঞ্জ থানার এসআই অলক কুমার দত্ত বাদী হয়ে নিহত মীরার বাবা আনোয়ারুল ইসলাম আঙ্গুর, তার ভাই খুর্শিদ মিয়া, ভাতিজা সাদেক মিয়া ও আঙ্গুরের স্ত্রী নাজমুন্নাহারকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ৪ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নাজমুন্নাহারকে মামলা থেকে খালাস দেন বিচারক। আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট জেসমিন আরা বেগম রোজী মামলাটি পরিচালনা করেন।