শিরোনাম: |
নিজস্ব প্রতিবেদক :
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আইনের বিকৃত ব্যাখ্যা দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকঅর বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির উদ্যোগে ‘ভোটাধিকার হরণের কালো দিবস উপলক্ষ্যে’ আয়োজিত মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন তিনি। রিজভী বলেন, দেশের বরেণ্য আইনজীবীরা বলছেন যে, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আইনের অপব্যাখ্যা দিচ্ছেন। আর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আজকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে তাকে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এভারকেয়ার হাসপাতালে বন্দি করে ফেলে রাখা হয়েছে। তার পাকস্থলী থেকে রক্ত ঝরছে। ‘খালেদা জিয়ার ডাক্তাররা বলছেন, তার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনো সময় একটা বড় বিপদ হতে পারে। তার পরও প্রধানমন্ত্রী ও তার আইনমন্ত্রী এত পাষাণ, এত কঠোর এবং এত নির্দয়!’
আইনে নেই বিদেশে চিকিৎসা করার- আইনমন্ত্রীর এই বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আইনমন্ত্রী এটি তো আপনার নিজের কথা নয়; এবং আইনের বিধানও না। আইনে আছে। কিন্তু শেখ হাসিনা আপনাকে যেটি শিখিয়ে দিয়েছেন, আপনি সেটিই বলেছেন। আপনি আইনের বিকৃত ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ প্রতিনিয়ত এবং প্রতিমুহূর্তে উন্নয়নের কথা বলে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, তারা নাকি অনেক উন্নয়ন করেছে। এটি তারা বলেন। উড়াল সেতু, ফ্লাইওভার- আরও কত কী বলে। কিন্তু আসল উন্নয়নের কথা বলে না। তারা ১১-১২ বছর ধরে জোর করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই ১১-১২ বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে!
মানববন্ধন কর্মসূচি কেন্দ্র করে সকাল ৯টা থেকে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ব্যানারসহ খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে মানববন্ধনস্থলে জড়ো হয়। এ সময় মিছিল থেকে তারা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে কর্মসূচির প্রাঙন মুখরিত করে তোলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, শ্রমিক দলের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসাইন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।