প্রকাশ: বুধবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:১৬ PM
বিএনপির অভিযোগ ছিলো সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে অশ্লীল কথা বলেছেন। মুরাদের পদ ত্যাগের দাবী করেছিলেন তারা।
মুরাদ পদত্যাগ করেনি, প্রধানমন্ত্রী তাকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সুশীল সমাজ তো বটেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও মুরাদের বক্তব্য গ্রহন করেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনই এ ধরনের নোংরামি পছন্দ করেন না। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, একজন প্রতিমন্ত্রীকে মুহুর্তের সিদ্ধান্তে সরিয়ে দিতে দ্বিধা করেননি শেখ হাসিনা।
তিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, সিদ্ধান্ত তিনি জানেন, যা ভাবেন সেটা করে ছাড়েন। মুরাদকে সরিয়ে শেখ হাসিনা প্রমান করলেন, রাজনৈতিক আদর্শের ভিন্নতাকে তিনি ব্যাক্তিগত পর্যায়ে নামিয়ে আনেননি। না হলে যে তারেক জিয়া হাওয়া ভবনে বসে মুজাহিদ, আবদুস সালাম পিন্টু, মুফতি হান্নান ও প্টিুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনকে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড মেরেছিলো। উদ্দেশ্য ছিলো একটিই, শেখ হাসিনাকে হত্যা করে। শুধু গ্রেনেড মেরেই ক্ষান্ত হয়নি, শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়া হয়েছিলো। তারঁ দেহ রক্ষক মাহবুব গুলিতে জীবন নিয়ে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা মানব ঢাল রচনা করে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেছেন। সেই তারেক রহমানের মেয়েকে নিয়ে কটু কথা বলার দায়ে শেখ হাসিনা তার মন্ত্রী সভার একজন প্রতিমন্ত্রী সরিয়ে দিতে বিন্দু মাত্র চিন্তা করেননি, কারো কথা শুনেননি। সে জন্য বিএনপি নেতারাও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ঠিক একই সময়ে মুরাদের চেয়ে ঢের বেশী অশ্লীল কথা শেখ হাসিনাকে নিয়ে বলেছেন বিএনপির আলাল। সে ভিডিও,আলালের সে বক্তব্য এখনো সামাজিক যোগাযোগ ঘুরছে। এ নিয়ে ছাত্রলীগের ছেলেরা প্রতিবাদ করছে, শাহবাগ থানায় মামলায় হয়েছে। বিএনপির কোন লোককে এখন পর্যন্ত বলতে শুনলাম না, আলাল কাজটা ঠিক করেননি। অথচ মুরাদের বিষয়ে প্রথম প্রতিবাদ আওয়ামী লীগের ভেতর থেকেই উঠেছিলো। তার মানে কি ধরে নেব বিএনপি নামের এই দলটাই নোংরামিতে ভরা।এখানে বিবেকবানরা কেউ নেই। খালেদা জিয়ার নাতিকে নিয়ে কটুক্তি করায় শেখ হাসিনা একজন প্রতিমন্ত্রীকে সরিয়ে দিলেন। অন্যদিকে স্বয়ং শেখ হাসিনাকে নিয়ে অশ্লীল কথা বলার কারনে খালেদা জিয়া তো এখন পর্যন্ত আলালের বিরুদ্ধে কোন এ্যাকশন নেননি, মির্জা ফকরুল কোন কথা বলেননি। হয়তো আলালের বিরুদ্ধে কোন এ্যাকশন খালেদা জিয়া মির্জা ফকরুলরা নেবেন না। নেওয়ার ইচ্ছেও তাদের নেই। সে শিক্ষাও, সে রুচিবোধও বিএনপির কারো আছে বলে মনে হয় না। এখানেই শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার পার্থক্য, এখানেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পার্থক্য।