প্রকাশ: সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:০৫ পিএম (ভিজিট : ২৮)
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। তবে সরকার উদ্যোগী না হলে রেফারির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে- এমন আশঙ্কাও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) আট দলের সাথে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় দলগুলোর নেতারা আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন। সমাবেশ ও গণমিছিলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তারা।
দাবি আদায়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কার্যালয়ে জরুরি সভা করেন আন্দোলনরত দলগুলোর প্রতিনিধিরা। সভা শেষে করা হয় যৌথ সংবাদ সম্মেলন।
যৌথ সংবাদ সম্মেলন সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘উচ্চকক্ষে পিআরের ব্যাপারে আট দলের সবাই, জনগণ ও সরকার একমত। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে এ চাওয়া পূরণ হবে না। প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে অন্যরা সাড়া দিলে আমরাও আলোচনায় বসতে রাজি। ’
তাহের আরও বলেন, ‘যদি উপদেষ্টা পরিষদ কিছু না করে আমাদের ওপরই ছেড়ে দেয়, তবে রেফারির দায়িত্ব পালন করবে কে? ’
তাহের বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা করে একমত হওয়ার বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। কিন্তু এ বিষয়ে সরকারকে রেফারির ভূমিকা পালন করতে হবে। সমমনা আটদল সব রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করতে চায়। ’
বিএনপির এক এক নেতা এক এক বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন-এ কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের দিনে গণভোট হলে সেই ভোটের কোনো মূল্যায়ন থাকবে না।
বিএনপির একেকজন সংস্কার নিয়ে একেক রকম বক্তব্য দিচ্ছেন-সনদের জন্য গণভোট অপরিহার্য বলেও জানান তিনি। একই অনুষ্ঠানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, ‘জুলাই সনদ আইনি ভিত্তি না পেলে পরবর্তী নির্বাচন বৈধতা পাবে না। একই দিনে গণভোট ও নির্বাচন হলে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন হুমকির মুখে পড়বে। একই দিনে গণভোট ও নির্বাচনের ইতিহাস নেই। ’