
দলীয় দুর্দিনে যখন অনেকে রাজপথ এড়িয়ে চলেন, তখন দৃঢ় পদক্ষেপে রাজপথে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এডভোকেট এরশাদ আলম জর্জ। বিএনপির এই সাহসী মুখ এখন শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনে ‘ধানের শীষ’-এর নতুন আশার প্রতীক হিসেবে আলোচনায়।
রাজনৈতিক অঙ্গনের কঠিন সময়েও জর্জের নির্ভীক অবস্থান তাকে করে তুলেছে ক্লিন ইমেজের একজন পরিশীলিত ও জনপ্রিয় নেতা। দলীয় নেতাকর্মীদের মতে, রাজনীতি, আইন ও মানবসেবার সমন্বয়ে তিনি এখন জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
১৯৯০ সালে শ্রীবরদী সরকারি কলেজে ছাত্রদলে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতিতে পদার্পণ করেন এরশাদ আলম জর্জ। পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে যথাক্রমে ইংরেজি সাহিত্যে এম.এ এবং আইন বিষয়ে এলএলবি সম্পন্ন করেন।
শিক্ষাজীবনে তিনি ছিলেন নেতৃত্বের উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি, সেন্ট্রাল ল- কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব, এবং জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন নিষ্ঠার সঙ্গে তিনি।

আইন পেশায় প্রবেশের পর ঢাকা বার কাউন্সিলে যুক্ত হয়ে দ্রুতই নিজেকে প্রমাণ করেন। ২০১২-১৩ সালে বিএনপি-সমর্থিত প্যানেল থেকে বিপুল ভোটে অফিস সেক্রেটারি নির্বাচিত হন তিনি। বর্তমানে তিনি বিএনপির আইনজীবী ফোরাম এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪, ঢাকা-এর পিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নিষ্ঠার সাথে।
দলের দুর্দিনে রাজপথে আন্দোলনের অগ্রভাগে থেকেছেন জর্জ। বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-আইন সম্পাদক হিসেবে হাবিবুন নবী খান সোহেল ও মরহুম বাবুর নেতৃত্বাধীন কমিটিতে ছিলেন তিনি। প্রয়াত ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা গ্রুপের আন্তর্জাতিক সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেছেন দায়িত্বশীলভাবে।
রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতাও তার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। করোনা মহামারির সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতীর অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিতরণ করেছেন মাস্ক, স্যানিটাইজার, খাদ্যসামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা। শিক্ষা উপকরণ ও পোশাক বিতরণের মাধ্যমে সমাজসেবায় রেখেছেন দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা।
‘মানবসেবা পরম ধর্ম'- এই বিশ্বাসেই এগিয়ে চলা এডভোকেট এরশাদ আলম জর্জের কাছে রাজনীতি কোনো ক্ষমতার প্রতিযোগিতা নয়, বরং জনগণের সেবা করার সুযোগ। তার ভাষায়, “আমি রাজনীতি করি মানুষের অধিকার ও ন্যায়ের পক্ষে। শেরপুর-৩ আসনের মানুষের ভালোবাসাই আমার প্রেরণা। আমি ছিলাম, আছি, আগামীতেও থাকব তাদের পাশে।”
দলীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, রাজপথের পরীক্ষিত এই সৈনিকই হতে পারেন শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতীর পরবর্তী প্রজন্মের নেতৃত্বের প্রতীক। একজন মানবিক ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাজনীতিক, যিনি মাঠে-ময়দানে মানুষের বিশ্বাস জয় করেছেন ইতোমধ্যে।
জনআস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে রাজনৈতিক দর্শন, মানবিক মনোভাব ও তৃণমূল সংযোগ- সব মিলিয়ে শেরপুর-৩ আসনে এডভোকেট এরশাদ আলম জর্জ এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
জনগণ বলছেন, “দলীয় আস্থার প্রতীক, রাজপথের সৈনিক ও মানুষের পাশে থাকা এক মানবিক মুখ তিনি। এই নেতাই হতে পারেন শেরপুর- ৩ আসনের কার্যকর প্রতিনিধি।”