প্রকাশ: বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫, ৫:১৬ পিএম (ভিজিট : ৬৪)

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের মামলায় বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী (বুয়েট) শ্রীশান্ত রায়কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২২ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।
এদিন তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশের পক্ষ থেকে কারাগারে রাখার আবেদন করা হয়।
আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম জামিন শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শামসুদ্দোহা সুমন জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ। একইসঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আগামীকাল জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এটা জামিনযোগ্য অপরাধ। অভিযোগটি পুরোটাই ধারণার ভিত্তিতে। অনেক সময় মবও ক্রিয়েট করেও এরকম অভিযোগ আনা হয়।’
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করে শামসুদ্দোহা সুমন বলেন, ‘আসামি সরাসরি ইসকনের সদস্য। ধর্মপ্রাণ মুসলিম মনে আঘাত দিয়ে পোস্ট করেছে। তার বিরুদ্ধে বুয়েটে আন্দোলন হয়েছে। জামিনের বিরোধিতা করছি।’
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে বুয়েট শিক্ষার্থী শান্ত রায়কে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে সাইবার নিরাপত্তা সুরক্ষা অধ্যাদেশের অধীন দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
বুয়েটের নিরাপত্তাকর্মী মো. আফগান হোসেন চকবাজার থানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মামলাটি করেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, বুয়েটের আহসান উল্লাহ হলে অবস্থান করে ছদ্মনাম ব্যবহার করে মুসলিম নারী ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে এ বছরের ৮ জুন থেকে ৭ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন পোস্ট দেওয়া হয়। সেখানে অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ, ধর্মীয় বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য জুড়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন চেষ্টার পর ছদ্মনামের প্রকৃত আসামি শ্রীশান্ত রায়কে শনাক্ত করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, মুসলিম নারী সংক্রান্ত অশ্লীল মন্তব্য এবং ধর্মীয় ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য বুয়েটের অন্যান্য শিক্ষার্থী ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে।