
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রধান কার্যালয়ে ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, কয়েক মাস আগে দেওয়া কার্যাদেশের ভিত্তিতে সেপ্টেম্বরের শুরুতেই অন্তত ছয়টি সামগ্রী ধাপে ধাপে এনে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। গত ১১ সেপ্টেম্বরও কয়েকটি চালান এসেছে।
রবিবারও কিছু সামগ্রী আনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের উপসচিব রাশেদুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী সরঞ্জামের মধ্যে লাল গালা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের লক, অফিশিয়াল সিল, মার্কিং সিল, বড় ও ছোট হেসিয়ান ব্যাগ সরবরাহ শুরু হয়েছে।
বড় ও ছোট হেসিয়ান ব্যাগ চাহিদার সবগুলোই পৌঁছে গেছে বলেও জানানো হয়। বড় হেসিয়ান ব্যাগের চাহিদা ছিল ৭০ হাজার এবং ছোট হেসিয়ান ব্যাগের চাহিদা ছিল এক লাখ ১৫ হাজার।
কেনাকাটা ও ইসিতে সরবরাহ শুরু হওয়া আট ধরনের মালামালের মধ্যে লাল গালার ২৩ হাজার কেজি চাহিদার এক-চতুর্থাংশ পৌঁছেছে, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের ৫০ লাখ লক চাহিদার মধ্যে পাঁচ লাখ লক সরবরাহ শুরু হয়েছে। ৮ লাখ ৪০ হাজার দাপ্তরিক সিলের চাহিদা রয়েছে, এর মধ্যে পাঁচ লাখ সেপ্টেম্বরের শুরুতে সরবরাহ হয়েছে।
মার্কিং সিলের ১৭ লাখ ৫০ হাজার চাহিদার বিপরীতে দেড় লাখ সিল সরবরাহ শুরু হয়েছে। ব্রাস সিল এবং গানি ব্যাগ রিটেন্ডার হওয়ায় সরবরাহ শুরু হয়নি। দুইটারই চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার করে।
এদিকে নির্বাচনের সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরে আগস্টের শুরুতে ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছিলেন, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব ধরনের নির্বাচনী সরঞ্জাম কেনাকাটা শেষ হবে। লোকাল পারচেজ প্রকিউরমেন্টে আটটি আইটেম ছিল। তার ভেতরে একটিতে পুনরায় দরপত্র দিতে হয়েছে। আমাদের যে সময়সীমা রয়েছে, তার মধ্যে সব সরঞ্জাম পাওয়া যাবে।
ভোটের সামগ্রীর অধিকাংশই নির্বাচন কমিশন থেকে সরবরাহ করা হয়। তবে কিছু মনোহারি জিনিস রিটার্নিং অফিসারকে স্থানীয়ভাবেও সংগ্রহ করতে হয়।
ভোট সামনে রেখে সুঁই সুতা, দিয়াশলাই, আঠা ও কলম থেকে প্লাস্টিকের পাত— প্রতিটি কেন্দ্র ও বুথের জন্য এমন ২১ ধরনের জিনিস লাগে। আসনভিত্তিক ভোটার, ভোটকেন্দ্র ও সামগ্রিক প্রস্তুতি শেষ হলে তফসিল ঘোষণার পর আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা অফিসে ধাপে ধাপে তা বিতরণে যাবে। আর ব্যালট পেপারসহ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভোটের আগেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছানো হয় সব সরঞ্জাম।