প্রকাশ: বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫, ৭:২৫ PM
ডাকসু নির্বাচন ঘিরে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের।
‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেলের এ প্রার্থী বলেন, ডাকসু নির্বাচনের প্রচারণায় আচরণবিধি লঙ্ঘন এখন যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সব দেখেও নির্বিকার ভূমিকায় রয়েছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন অভিযোগ তোলেন।
আব্দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন আচরণবিধি ঘোষণা করেছে ঠিকই, কিন্তু বাস্তবে কেউ তা মানছে না। কমিশন সব দেখছে, তারপরও একটি দলকে (প্যানেল) বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ফলে সব প্যানেল প্রতিযোগিতার মতো আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। অথচ প্রশাসন নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ক্যাম্পাসে একটি গোষ্ঠী ৯০-এর ডাকসু নির্বাচনের পর গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতি চালু করেছিল। এবার ২০২৫ সালের ডাকসুর পর আবারও সেই দিনগুলো ফিরে আসবে কি না, শিক্ষার্থীরা তা নিয়ে শঙ্কিত।
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে, তাহলে ডাকসু নির্বাচনে সেনাবাহিনীর দরকার নেই। সেনা মোতায়েন হবে মশা মারতে কামান ব্যবহার করার মতো’—মন্তব্য করেন আব্দুল কাদের।
ডাকসুতে বাগছাসের জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদারও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আচরণবিধি ভেঙেছে। তবুও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এখন পুরো ক্যাম্পাস ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৩টার মধ্যে সব সরানোর নির্দেশ দিলেও অনেকেই সরায়নি।
বাকের মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন কমিশন একপাক্ষিক অবস্থান নিচ্ছে। যারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। নির্বাচন কমিশন যদি ঠিক থাকে তাহলে ক্যাম্পাসে আর্মি আনার প্রয়োজন নেই।