প্রকাশ: বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৭:১৮ PM
ডলারের অগ্রিম বুকিংয়ে নির্ধারিত সীমা আগে এক বছর বলা হলেও এখন তা কমিয়ে তিন মাস করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থাৎ দেশের আমদানিকারকরা সর্বোচ্চ তিন মাসের জন্য ডলারের অগ্রিম বুকিং দিতে পারবেন।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এর আগে গত রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) জারি করা প্রজ্ঞাপনে ডলারের ভবিষ্যৎ দাম (ফরওয়ার্ড রেট) প্রতি ডলারে ১২৩ টাকা ৩৫ পয়সা নির্ধারণের নতুন নিয়ম চালু করে তা এক বছরের আগাম বুকিংয়ের সুযোগের কথা বলা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন সিদ্ধান্ত জানানোর একদিনের মাথায় ভবিষ্যত বুকিংয়ের সীমা ফের সংশোধন করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ডলারের অগ্রিম বুকিংয়ে নির্ধারিত সীমা আগে এক বছর বলা হলেও এখন তা কমিয়ে তিন মাস নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ দেশের আমদানিকারকেরা সর্বোচ্চ ৩ মাসের জন্য ডলারের অগ্রিম বুকিং দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে উল্লেখিত সময় অনুযায়ীই ডলারের ভবিষ্যৎ দাম নির্ধারণ করবে ব্যাংকগুলো।
বর্তমানে ডলারের দাম ১১০ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারিত আছে। এক্ষেত্রে তিন মাসের জন্য অগ্রিম বুকিংয়ের ক্ষেত্রে ডলার ক্রয়কারীকে দিতে হবে ১১৩ টাকা ৮৫ পয়সা। এদিকে ভবিষ্যতের জন্য ডলার বুকিংয়ের সুযোগ একটি নিয়মিত কার্যক্রম উল্লেখ করে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের ভয় বা শঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, ডলার ক্রয় ও বিক্রয় উভয় ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ দাম নির্ধারণ করা যায়। তাই চাইলে কোনো আমদানিকারক এখনই ডলার কিনে রেখে পণ্য আমদানি করতে পারেন। এজন্য তাকে ডলারের বর্তমান দামের সঙ্গে বাড়তি কমিশন দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে দাম কমে গেলেও আমদানিকারককে বর্তমান দামই দিতে হবে। আবার দাম বেড়ে গেলে তিনি সুবিধা পাবেন; অর্থাৎ বাড়তি দাম দিতে হবে না।