প্রকাশ: সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৬:১৪ পিএম |
বর্তমানে অনাদায়ী আমদানি শুল্কের (বকেয়া) পরিমাণ প্রায় ৭৬০.৩০ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল।
সোমবার(১১ সেপ্টেম্বর) অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমানের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ তথ্য জানান। রেসামবার প্রশ্ন উত্তর টেবিলে উন্থাপিত হয়। অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বলেন, বর্তমানে অনাদায়ী আমদানি শুল্কের (বকেয়া) পরিমাণ প্রায় ৭৬০.৩০ (সাতশত ষাট দশমিক তিন শূন্য) কোটি টাকা। আমদানী শুল্ক অনাদায়ী থাকার কারণ: বিভিন্ন ধরণের আইনি জটিলতার কারণে ক্ষেত্র বিশেষে আমদানি শুল্ক অনাদায়ী হয়ে থাকে। পণ্যচালান খালাসের পরে নিয়মিত নিবারণী তৎপরতার অংশ হিসেবে খালাসোত্তর নিরীক্ষা (পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিট)কার্যক্রম সম্পাদন করা হয় এবং এর মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রে অনাদায়ী বকেয়ার উদ্ভব হয়। শুল্কায়ন সম্পন্ন হলেও সাময়িক অর্থ সংকটের কারণে অনেক সময় পণ্য চালান খালাস না নেওয়ায় আমদানি শুল্ক অনাদায়ী থেকে যায়। সরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক আমদানীর ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ে বিলম্বে পরিশোধের (Deferred Payment) ভিত্তিতে পণ্য চালান খালাস নেয়া হয়ে থাকে এবং পরবর্তীতে পণ্যচালান সংশ্লিষ্ট শুল্ক করাদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ না করলে সেক্ষেত্রে উক্ত চালানের আমদানি শুল্ক অনাদায়ী থেকে যায় । স্থানীয় ও রাজস্ব অডিট অধিদপ্তর কর্তৃক নিরীক্ষা ও সংশ্লিষ্ট কাস্টম হাউস/স্টেশন কর্তৃক তৎপরবর্তী বিচারাদেশের মাধ্যমে ফাঁকিকৃত শুল্ক কর আদায়ের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয় বিধায় আমদানি পর্যায়ে বকেয়া উদ্ঘাটিত হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় আমদানি শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে dispute এর কারণে আদালতে মামলা চলমান থাকায় আমদানি শুষ্ক অনাদায়ী থাকে। আদায়ের ব্যাপারে গৃহীত পদক্ষেপ: দি কাস্টমস এ্যাক্ট, ১৯৬৯ এ উল্লিখিত বকেয়া আদায় বিধি-বিধান যথাযথভাবে অনুসরণপূর্বক অনাদায়ী শুল্ক আদায়ের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। প্রাপ্ত সফলতা: দি কাস্টমস এ্যাক্ট, ১৯৬৯ এ উল্লিখিত বকেয়া আদায় সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধান যথাযথভাবে অনুসরণপূর্বক অনাদায়ী শুল্ক আদায়ের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের ফলে এ পর্যন্ত ৪.৪৪ (চার দশমিক চার চার) কোটি টাকা আদায় হয়েছে এবং অবশিষ্ট রাজস্ব আদায়ের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।