রোববার ২৮ মে ২০২৩ ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
 
শিরোনাম: তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ধাপে ভোটগ্রহণ শুরু       ডেঙ্গু পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ৫০০ টাকার বেশি নিলে ব্যবস্থা       আদাবরে বহুতল ভবনে আগুন       বঙ্গবন্ধুর নামে শান্তি পুরস্কার প্রবর্তনের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর       সৌদি পৌঁছেছেন ২৪ হাজার হজযাত্রী       অশান্তি-সংঘাত নয়, সবার উন্নতি চাই: প্রধানমন্ত্রী       দুই ছাত্রদল নেতা হত্যা মামলার আসামি খোকন-শিরিনসহ ৩০ জন       


মেট্রোরেলের টিকিটের ভ্যাট মওকুফ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০২৩, ৫:০৫ পিএম |

মেট্রোরেলের সব ধরনের সেবায় ভ্যাট অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সংস্থাটির মূসক নীতির প্রথম সচিব মোহাম্মদ হাসমত আলী স্বাক্ষরিত এক বিশেষ আদেশে এই তথ্য জানানো হয়েছে। জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ভ্যাট অব্যাহতির এই সুবিধা কার্যকরের সময় ধরা হয়েছে। যা বহাল থাকবে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। 

রোববার (২১ মে) এনবিআর থেকে ইস্যু করা বিশেষ আদেশে বলা হয়েছে, মেট্রোরেল বাংলাদেশের প্রথম সর্বাধুনিক গণপরিবহন। মেট্রোরেল যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি কর্মঘণ্টা সাশ্রয়ে বিরাট ভূমিকা পালন করবে। সে কারণে মেট্রোরেল চালু হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে অধিক জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে এই গণপরিবহনে যাতায়াত ব্যয় সাশ্রয়ী করা প্রয়োজন। তাই মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪৭ নং আইন) এর ধারা ১২৬ এর উপ-ধারা (৩) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মেট্রোরেল সেবার ওপর আরোপিত মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতি দেওয়া হলো।

এর আগে গত ১৯ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারের অফিস থেকে ভ্যাট আরোপের বিষয় যথাযথ নির্দেশনা চেয়ে এনবিআরের ভ্যাট নীতি বিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। বর্তমান ভ্যাট আইন অনুযায়ী, যেকোনো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের বিধান আছে। ঢাকার মেট্রোরেল পুরোপুরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং এটি একটি গণপরিবহন। সে কারণেই মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট আরোপের আহ্বান জানিয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডকে (ডিএমটিসিএল) গত ২২ জানুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার শওকত আলী সাদী চিঠি দেন। ওই চিঠিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ হিসেবে মেট্রোরেলে চলাচলকারী যাত্রীদের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের কথা বলা হয়। সে অনুযায়ী ভ্যাট বসানো হলে মেট্রোরেলের টিকিটের দাম বাড়ত। অর্থাৎ ৬০ টাকার টিকিটের দাম দাঁড়াত ৬৯ টাকায়। 
চিঠির জবাবে বলা হয়, মেট্রোরেলে অভিজাত শ্রেণীর যাত্রী ভ্রমণ করে না, সব শ্রেণীর মানুষ একই ভাড়া দিয়ে ওঠে। তাই এই ধরনের পরিবহনে ভ্যাট প্রযোজ্য হবে না। ভাড়া নির্ধারণেও সরকার জনগণের আর্থিক সমার্থ্যকে প্রাধান্য দিয়েছে। এছাড়া সরকার মেট্রোরেলে যাতায়াতকারী যাত্রীদের জন্য বিশেষ কিছু সুবিধা দিচ্ছে। 

ডিএমটিসিএল আরও জানায়, বিভিন্ন দেশের মেট্রোরেল পরিচালনার অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, শুধু ভাড়ার আয় দিয়ে লাভজনকভাবে মেট্রোরেল পরিচালনা করা অসম্ভব। তাই মেট্রোরেলের পরিচালন ব্যয় নির্বাহ করা হয় সরকারি ভর্তুকির মাধ্যমে। এই প্রেক্ষাপটে এমআরটি লাইন-৬-এর পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণে ১ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার জন্য অর্থ বিভাগকে অনুরোধও করা হয়েছিল। 
বর্তমানে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলাচল করে মেট্রোরেল। আগামী জুলাই থেকে পুরোদমে (সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত) মেট্রোরেল চালানোর পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ। 









প্রকাশক: এম এন এইচ বুলু
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মাহফুজুর রহমান রিমন  
বিএনএস সংবাদ প্রতিদিন লি. এর পক্ষে প্রকাশক এম এন এইচ বুলু কর্তৃক ৪০ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বুলু ওশেন টাওয়ার, (১০তলা), বনানী, ঢাকা ১২১৩ থেকে প্রকাশিত ও শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ফোন:০২৯৮২০০১৯-২০ ফ্যাক্স: ০২-৯৮২০০১৬ ই-মেইল: [email protected]