শিরোনাম: |
‘ব্যাংক খাতে সংকট কাটেনি, কিছুটা উন্নতি হয়েছে’
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
![]() সোমবার (২২ মে) ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এবিবি। সেখানে এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর. এফ. হোসেন জানান, এখন থেকে প্রতি তিন থেকে চার মাস পর এবিবি এ ধরনের সংবাদ সম্মেলন করবে। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। ব্যাংক খাতের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, ‘মানুষের আস্থার বড় জায়গা ব্যাংক খাত। এখানে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। তবে মাঝে যে চাপ তৈরি হয়েছিল সে তুলনায় এখন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ডলারের বাজার পুরোপুরি ঠিক না হলেও আগের চেয়ে স্বাভাবিক হয়েছে। আমানত তুলতে এসে না পাওয়ার ঘটনা নেই বরং উচ্চ মূল্যস্ফীতির এ সময়েও আমানত বেড়েছে। ঋণে প্রবৃদ্ধি আছে।’ এবিবির চেয়ারম্যান বলেন, ‘করোনা মহামারির ধাক্কা বাংলাদেশ ভালোভাবে সামলে নিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে আবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সব জিনিসের দর বেড়ে যায়। যে কারণে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে ব্যাপক চাপ তৈরি হয়। তবে চাপ ধীরে-ধীরে কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। এর মানে ব্যাংক খাত একেবারে ঠিক হয়ে গেছে তেমন নয়। আবার সব এলসি খুলতে পারছে, তাও নয়। তবে গত বছরের তুলনায় পরিস্থিতি অনেক ভালো হয়েছে।’ সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, ‘বাণিজ্যনির্ভর মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়টি আগে ভালোভাবে দেখা হতো না। বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ির পর এখন বোঝা যাচ্ছে, বড় ব্যবসায়ীরা বাণিজ্যের আড়ালে অনেক টাকা পাচার করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে এখন ব্যাংকাররা এসব ভালোভাবে দেখছে। এ নিয়ে গভর্নর বারবার বলছেন, বাণিজ্যের আড়ালে অর্থপাচার প্রায় বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে।’ সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘এখনও এলসি খুলতে সমস্যা হচ্ছে। ছোট ছোট এলসিগুলো খুলতে পরছি না। আমাদের কাছে ১০টি এলে হয়ত চারটি এলসি খুলতে পারছি। আমরা গুরুত্ববহ পণ্য আমদানির জন্য এলসি ওপেন করছি। আমাদের আগে খেলনা আমদানির প্রয়োজন নেই, কারণ আমাদের সার দরকার, তেল দরকার। তবে আমাদের ভালো দিক হলো এক্সপোর্ট বাড়ছে, রেমিট্যান্স বাড়ছে।’ মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরের প্রতি গ্রাহকের আস্থা বেড়েছে। এখন ডিপোজিট বেড়েছে, রেমিট্যান্স বাড়ছে। রেমিট্যান্সে ডলারের রেট ৮৭ টাকা থেকে ১০৮ টাকা হয়েছে। আমাদের তারল্য সাময়িক সংকট দেখা দিয়েছিল তবে এখন অতিরিক্ত তরল্য রয়েছে। পুরো ব্যাংকখাতে এখন অতিরিক্ত এক লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা তারল্য রয়েছে।’ আরও উপস্থিত ছিলেন এবিবির ভাইস চেয়ারম্যান ও সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন, ডাচ বাংলা ব্যাংকের এমডি আবুল কাশেম মো. শিরিন ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের এমডি সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী এবং এবিবির ট্রেজারার ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের এমডি মো. আহসানুউজ জামান।
|