প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০২১, ৪:২৫ PM
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে গত দুই মাসে প্রায় ১ হাজার ৮১৪ জন যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনের সেবা গ্রহণ করেছেন ২৬৭ জন। মেডিকেল কলেজটিতে নাম মাত্র সার্ভিস চার্জের মাধ্যমে কোয়ারেন্টিনে অবস্থানরদেরকে সেবা দেয়া হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা পেয়ে ভারত থেকে আসা যাত্রীরাও বেশ খুশি। কলেজটিতে ১০০ জনের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা আছে। পাশাপাশি কলেজটি পিসিআর ল্যাব স্থাপনের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা চালু করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারত ফেরত বাংলাদেশি যাত্রী ও বিশেষ অনুমতি নিয়ে আসা ভারতীয় যাত্রীদেরকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। প্রশাসনের উদ্যোগে ১০টির বেশি প্রতিষ্ঠানে যাত্রীদেরকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা ও আখাউড়ার বিভিন্ন হোটেল ও ঢাকার ব্র্যাক লার্নিং সেন্টার। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই ব্যক্তিগত খরচে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে।
মেডিকেল কলেজ সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত ২৬৭ জন যাত্রী এখান থেকে সেবা নিয়েছেন। এর মধ্যে ২১০ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। বাকি ৫৭ জন এখানো কোয়ারেন্টিনে আছেন। এখানে দুইজন করে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কোয়ারেন্টিনে থাকা যাত্রীদের পছন্দ মতো তিন বেলা খাবার সরবরাহ করা হয়। প্রতিদিনই বিছানার চাদর বদল করে দেয়াসহ পরিচ্ছন্নতার কাজ পরিচালনা করা হয়। এছাড়া চিকিৎসা সেবাও দেয়া হয় অবস্থানরতদেরকে। প্রতিদিন মাত্র ২০০ টাকা করে সার্ভিস চার্জ নেয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে যারা হোটেলে থাকছেন তাদেরকে প্রতিদিন এক থেকে তিন হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে। এদিকে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের স্হাপনের ফলে দ্রুত করোনা পরীক্ষা যাচ্ছে। গত বছরের ২২ জুন পিসিআর ল্যাব স্হাপনের পর থেকে রোববার পর্যন্ত ৩ হাজার ৩৩৪ টি করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে পজিটিভ ৮৯৩ টি এবং নেগিটিভ ২ হাজার ৪৪১ টি শনাক্ত হয়েছে।
ল্যাবটি পরিচালনার জন্য একজন অধ্যাপক, একজন সহযোগী অধ্যাপক, একজন সায়েন্টিফিক অফিসার, ছয় জন ল্যাব টেকনোলজিস্ট কর্মরত আছেন।
খেলাঘর আসর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজটির উদ্যোগ খুবই প্রসংশনীয়। এখানে থাকার পরিবেশ যেমন ভালো তেমনি নিয়ম মানার ক্ষেত্রেও বেশ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডা. মো’ আবু সাঈদ বলেন, সেবার লক্ষ্য নিয়েই ভারত ফেরত যাত্রীদের জন্য এখানে কোয়ারেন্টিন এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা এখানে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। গত বছর করোনা বেড়ে যাওয়াও মেডিকেল কলেজটিতে গত বছরের ২২ জুন পিসিআর ল্যাব স্হাপন করা হয়। আমরা সেবার মান নিয়েই হাসপাতালটি পরিচালনা করছি।