প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ৫:০৯ পিএম (ভিজিট : ১৪২)

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডে অক্ষত মালামালের তালিকা প্রকাশ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। শাহজালাল বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ করে বাংলাদেশ বিমান। এছাড়া পণ্য খালাসে কাজ শুরু করেছে ঢাকা কাস্টম হাউস। কার্গোর ৯ নম্বর গেট ব্যবহার করে পণ্য খালাস শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা যায়, শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের সামনে বাতাসে পোড়া গন্ধ। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি রাখা হয়েছে। পাশে ৮ নম্বর গেটসংলগ্ন দেয়ালে একটি তালিকা লাগাচ্ছেন বিমানের কর্মীরা। এ তালিকা দেখতে ভিড় করছেন আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা।
এ সময় কথা বলে জানা যায়, তালিকাটি বিজিএমইএ’র মালামালের। আগুনে বিজিএমইএ’র মালামাল তেমন পোড়েনি। এমন পাঁচ শতাধিক মালামালের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
এ তালিকা দেখে মালামাল খুঁজে পেয়েছেন রাজধানীর মিরপুরের ভিশন এপারসেল’র মালিক আব্দুর রহিম। তিনি ৮০৮ ডলার দিয়ে চীন থেকে ফেব্রিক্সের পণ্য এনেছিলেন। এর মধ্যে পাঁচটি পেয়েছেন। বাকিগুলোর খোঁজ পাচ্ছেন না।
আব্দুর রহিম বলেন, ‘মালামাল খুঁজে পেতে দুই দিন ধরে এয়ারপোর্ট এলাকায় আসছি। আজ তা খুঁজে পেয়েছি।’
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কর্মী খন্দকার নাহিদ হোসেন জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় বিজিএমইএ’র অধিকাংশ মালামাল অ্যাপ্রোন এরিয়াতে ছিল। তাদের মালামাল তেমন ক্ষতি হয়নি। এছাড়াও অ্যাপ্রোন এরিয়াতে অন্য যাদের মালামাল ছিল সেগুলো ভালো আছে। এসব মালামালের একটি তালিকা দেয়ালে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মালিকরা ব্যাংকের নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে এনবিআরের মাধ্যমে সেগুলো নিতে পারবেন।
ঢাকা কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তা নূর-ই আলম বলেন, ‘প্রাথমিক অবস্থায় আমরা কাজ শুরু করেছি। ৯ নম্বর গেট ব্যবহার করে মালামাল ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আপতকালীন কাজ হচ্ছে। পুরোপুরি কাজ শুরু হতে সময় লাগবে। তবে আমরা চেষ্টা করছি সাধ্যমতে এগিয়ে নিতে।’
জানা যায়, পণ্য ডেলিভারিসংক্রান্ত সহায়তার জন্য দুই জন ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা নির্ধারণ করা হয়েছে। তারা হলেন— ঢাকা কাস্টম হাউজের যুগ্ম কমিশনার কামরুল হাসান ও বিমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের ম্যানেজার (ইমপোর্ট অপারেশন) ফিরোজ সালাউদ্দিন।