প্রকাশ: শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৬:০৫ PM
বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে রাজধানী ঢাকা। এমন বাস্তবতায় বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে জাতীয় কমিটি গঠন করেছে সরকার। এই কমিটি বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারকে পরামর্শ দেবে। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় করবে।
সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ‘বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত জাতীয় কমিটি গঠন’ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, ২৭ সদস্যের কমিটিতে সভাপতি হিসেবে রয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। কমিটিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও দফতর-সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (দূষণ নিয়ন্ত্রণ/পরিবেশ) কমিটিতে সদস্য-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২’ এর অধীনে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে নির্ধারিত মানমাত্রা অর্জন ও বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সুনির্দিষ্ট করণীয় নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিকে এ কমিটি।
বিধিমালায় উল্লিখিত কার্যক্রম বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট করণীয় নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে তা বাস্তবায়নের নির্দেশও দেবে এ কমিটি। এছাড়া জাতীয় কমিটি কোনো শহর, অঞ্চল বা নির্দিষ্ট স্থানের বায়ুদূষণের মাত্রা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে উপনীত হলে উক্ত শহর, অঞ্চল বা স্থানে অবস্থিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা প্রকল্প, যানবাহন বা বায়ুদূষণ সৃষ্টিকারী যে কোনো উৎসের চলাচল বা কার্যক্রমের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ বা সীমিত করার নির্দেশনা দেবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, জাতীয় কমিটি তার কার্যাবলী সম্পাদনে সহায়তার জন্য প্রয়োজনে ওই কমিটির সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে উপকমিটি গঠন করতে পারবে এবং ওই উপ-কমিটির মতামত গ্রহণ করতে পারবে।
একই সঙ্গে জাতীয় কমিটি বছরে কমপক্ষে দুটি সভা করবে। তবে শর্ত থাকে যে, সভাপতি প্রয়োজনে যেকোনো সময় জাতীয় কমিটির সভা আহ্বান করতে পারবে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দিবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।