রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাস্টিদের সাথে মতবিনিময় করেছেন বিএনএস গ্রুপ অব কোম্পানীজের চেয়ারম্যান, দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের প্রকাশক, দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, শিক্ষানুরাগী ও শিল্পোদ্যোক্তা এম.এন.এইচ. বুলু। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির অবকাঠামো উন্নয়নসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি সদস্য নাওয়ার লায়লা বুলু, ট্রাস্টি সদস্য রবিন খান, উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ সাহেদ, রেজিস্ট্রার আলতাফ হোসেন, রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ডিরেক্টর অধ্যাপক হারাধন গাংগুলি, ফ্যাশন ইন ডিজাইন বিভাগের প্রধান মাহমুদা বেগম, গ্রন্থাগারিক ড. জিল্লুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় বিএনএস গ্রুপ অব কোম্পানীজের চেয়ারম্যান এম.এন.এইচ বুলু বলেন, রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অসম্পন্ন কাজ রেখে গেছেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। তাঁর অসম্পন্ন কাজ শেষ করার প্রত্যয় নিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের এক নম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে। তিনি আরো বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে মেধাবীদের বিশ্ববিদ্যালয়। আশা করছি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম দিনে দিনে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে।
করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দেশের এই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিক্ষানুরাগী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্র্থীদের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে সব ভাগ হলেও লেখাপড়া ভাগ হয় না। বিএনএস গ্রুপ অব কোম্পানীজের চেয়ারম্যান এম.এন.এইচ. বুলু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন। প্রসঙ্গত, জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ছিলেন রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান। কিছুদিন আগে তিনি পরলোক গমন করেন।
এদিকে, রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম ট্রাস্টি সদস্য নাওয়ার লায়লা বুলু বলেন, সত্যিই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোসহ শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমগুলো উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে করা হয়েছে।
এ ছাড়া রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ট্রাস্টি সদস্য রবিন খান বলেন, অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত এ বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম খুব শিগগির শুরু হবে। আমরা উন্নত বিশ্বের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে তাল মিলিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নিশ্চিত করেছি। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার জন্য রয়েছে এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী শিক্ষকমণ্ডলী।
জানা গেছে, গত বছরই বিশ্ববিদ্যালয়টির আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর কথা ছিলো। করোনা পরিস্থিতিতে তা হয়ে উঠেনি। তবে এ বছর চালু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। উত্তরা ক্যাম্পাসে প্রায় ৮শ’ শিক্ষার্থী পাঠদান করার সুযোগ পাবে বলে জানান রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ সাহেদ। তিনি দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনকে বলেন, মোট ৬টি বিভাগ নিয়ে চালু হবে আমাদের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।