প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৪:৫২ PM
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র-ঘোষিত ভিসা নীতির অধীনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। অন্য আইনের (অ্যাক্ট) অধীনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছিল, তা হলো ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের (আইনের) ধারা ৩-সি অনুসারে। সেটি ছিল এই অ্যাক্টের অধীনে। আর জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে যে রেস্ট্রিকশন দেওয়া হয়েছে, বৈদেশিক অপারেশন এবং এ সম্পর্কিত প্রোগ্রাম অ্যাক্ট-এর অধীনে। অর্থাৎ অন্য একটি আইনে তাকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা দেখেছেন আওয়ামী লীগের অনেক সংসদ সদস্য দুর্নীতির দায়ে জেলে গেছেন। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দুর্নীতি দমন, সন্ত্রাস দমনসহ অন্যান্য বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করছি। আমরা দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রেও একসঙ্গে কাজ করবো। নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানানোর প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রথমে বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের দূতাবাসে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সরকার ব্যবস্থা নেবে কিনা জানতে চাইলে ড. হাছান বলেন, বিষয়টি আর্মির বিষয়। যেহেতু উনি সাবেক সেনাপ্রধান, তাই আগেই এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। এরআগে স্থানীয় সময় সোমবার (বাংলাদেশ সময় সোমবার মধ্যরাতের পর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আজিজ আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য ঘোষণার কথা জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের বিবৃতিতে বলা হয়, উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার কারণে আজিজ আহমেদকে ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর। এর ফলে আজিজ আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য হবেন।